অতৃপ্ত_আত্মা_কে Story- Otrito Atta



প্রতিদিন সাদিয়ার সাথে সে***ক্স করার ব্যাপারটা আমি আর নিতে পারছিনা। আমার শা*রী*রি*ক দিক দিয়ে তো ভাবতে হবে। প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে সে*ক্স করাটা কোন পুরুষের সহ্য হবে। অবশ্য আমি জনি সিন্স নয় যে, এই অসম্ভব কাজকে সম্ভব করতে পারবো। আজ রাতেও হয়তো করতে হবে। সূর্য ডুব দিয়ে হারাবে একটু পর। সন্ধ্যাদীপ লাল বর্ণে বর্ণিত হবে।চারদিক শীতের শীতল পরিবেশ জড়াবে প্রকৃতির অঙ্গ। অন্ধকার মাখামাখি করবে তার সঙ্গে। চাঁদেরকলঙ্ক জানালা ভেদ করে প্রবেশ করবে আমার ছোট্ট কামড়ায়। তার সাথে সাথে সেও আসবে আমার সঙ্গে যৌ** ন স* ঙ্গ* ম করতে। আজ আমি সত্যিই খুব দুর্বল। আমি পারবো তো?

এমন অবস্থা আজ থেকে ৩ মাস আগ থেকে চলছে। ৩ মাস আগেও আমার লাইফ ভরপুর সুন্দর ছিলো। তখন আমিও ছিলাম আর দশটা সাধারণ যুবকের মত। হাসতাম, খেলতাম,ঘুরতাম। এবার আনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পরিক্ষা দিবো আমি। আমার স্বপ্ন ছিলো খুব বড় হবো। নিজের পরিবারকে গ্রাম থেকে এনে শহরে রাখবো। কিন্তু তা আর হলো কোথায়। সামান্য একটা ভুলের জন্য আমার সব স্বপ্ন ধূলিময় হয়ে গেছে। এই একটা ভুলের জন্য আমি অভিশপ্ত জীবন নির্বাহ করছি। জানতে চান? তবে ফিরে যেতে হবে ৩ মাস আগের ঘটনাকালে।

০৯/০২/২০১৯ সাল। আমার ছিলো ফুলের মত একটা গার্লফ্রেন্ড। মেয়েটির ছিলো নম্রস্বভাব। কারো সাথে কথা বলতো না বেশি। কলেজে আসতো, ক্লাস করতো, তারপর সোজা বাসায় চলে যেতো। ওর গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার চকরিয়া। ঢাকায় একটা মেসের মধ্যে থেকেই পড়াশুনা করতো। ও আমাকে প্রথম দেখাতে পছন্দ করেছে। অথচ আমিই জানতাম না। আর আমার দিক থেকে বলতে গেলে, আমিও তাকে পছন্দ করতাম। তবে সেটা শুধুই পছন্দ ছিলো। জাস্ট ভালো লাগা। কিন্তু ওর আচার- আচরণ দেখে কখন যে, ভালো লাগা থেকে ভালোবাসায় পরিণত হলো বুঝতেই পারিনি। আমি নিজেই তাকে প্রফোজ করেছিলাম। প্রথমদিন লজ্জায় কিছু না বললেও, পরেরদিন আমার নম্বরে কল দিয়ে এক্সেপ্ট করে নেয়। অবশ্য আগে থেকেই ওর কাছে আমার নম্বর ছিলো। হয়তো কখনো সাহস হয়নি,তাই কল দেয়নি। ও সরি, ওর নাম ছিলো নুসরাত।

হ্যা, নুসরাত নাম ছিলো। এখন নেই যে তা নয়। ওর নাম এখনো নুসরাত আছে। তবে মানুষটা নেই। রিলেশনের ১ সাপ্তাহিক পরে আমরা ঘুরতে বের হয়েছিলাম। সারাদিন আমরা পুরো ঢাকা শহর উপভোগ করে, সন্ধায় বাসায় যাই। এর মধ্যেই গণ্ডগোল লেগে যায়। আমার পাশের বাসার জান্নাত নামের মেয়েটা দেখে ফেলে আমাদের। জান্নাত আমাকে কয়েকমাস থেকেই পছন্দ করতো। কিন্তু মেয়েটি ছিলো মডার্ন। গেঞ্জি আর প্যান্ট পড়ে বের হতো রাস্তায়। পেয়াজ কেজি ৩৬ লাফালাফি দেখলে আমার মুখ দিয়ে কবিতা বের হতো।
" ও' হে' নারী ,
তাহারা নিচ্ছে আজি,
পুরুষ জাতির নজর কাড়ি।"
সে যাইহোক। ওর এই বদ অভ্যাস আমার বিরক্ত লাগতো। তবে সেদিন আমায় আর নুসরাতকে এক সঙ্গে দেখে সে নাগিনের মত ফুলতে থাকে । সাথে সাথে চলে আসে আমার রুমে। বহু বুঝানোর পরেও শুনলোনা আমার আকুতি মিনতি। আমাকে চোখ রাঙিয়ে বলল,
- তোমার সাথে মেয়েটি কে ছিলো।
- আমার গার্লফ্রেন্ড। ( মাথা নিচু করে উত্তর দিলাম।)

- আমার মধ্যে কি এমন কমতি ছিলো, যে তুই একটা ক্ষেত মার্কা মেয়েকে গার্লফ্রেন্ড বানিয়েছিস?
এবার খুব রাগ হয়েছে । মটকা গরম হাত নরম। তাই গায়ে হাত না তুলে উত্তর দিছি,
- তোমার মাঝে কমতি হচ্ছে সম্মান । তোমার কাছে কমতি হচ্ছে ইজ্জৎ। তোমার ইজ্জৎ নেই, নুসরাতের ইজ্জৎ আছে। তোমার কাছে সমাজের দাম নেই, নুসরাতের কাছে সমাজ বলতে কিছু একটা আছে। তোমার লজ্জা নেই, নুসরাতের লজ্জা আছে। তোমার শরীরের দিকে তাকালে শুধু সেক্স উঠবে,আর লিঙ্গ গরম হবে জাস্ট এইটুকু। আর নুসরাতের দিকে তাকালে মনে ফিলিং জাগে। নিজের লাইফ খুজে পাওয়া যায়। সুন্দর একটা জীবন উপভোগ করার স্বপ্ন দেখা যায়। একটা বাঁধন শক্ত করার শক্তি পাওয়া যায়। তুমি ক্ষেত, নুসরাত ক্ষেত নয়। যার পর্দা নেই,সে ক্ষেত। যার পর্দা আছে, সে কখনোই ক্ষেত হতে পারেনা।
- রিয়াজ, বেশি হয়ে গেলো না?

- মোটেও না। আমার রুমে চলে আসতেও লজ্জা করেনি? আমি একা একজন ছেলে রুমে। নিজের ইজ্জতভ্রষ্ট হওয়ার ভয় নেই?
- ও তাই বুঝি? একটা ক্ষেত মার্কা মেয়েকে বাচাতে, আমাকে insult করতে তোর মুখে বাধা পায়নি? আর কি বললি? আমাকে দেখলে লি**ঙ্গ গরম হয়? ওকে, তাহলে চল,সে***ক্স করবো এখন। তোর তো এখন গরম আছে নিশ্চয়। চল শুরু করি।
( এ বলেই জান্নাত তার গেঞ্জি খোলা শুরু করে। আমি সামনে গিয়ে গেঞ্জিতে হাত দিয়ে আটকিয়ে দিলাম।)
- দেখ জান্নাত। 
তোর প্রতি আমার কোনো ফিলিংস নেই। আমার গার্লফ্রেন্ড আছে । সো এসবের কোনো দরকার আমি মনে করিনা। তোর যদি এতই ইচ্ছে হয়,তবে গুলিস্তানের ওভার ব্রিজের নিছে যা। অন্তত জ্বালাও মিঠবে,টাকাও পাবি।
- কিহহ, তুই আমাকে মা*গি দের সাথে তুলনা করছিস?
- হ্যা তাই করছি। তুই ওদের চেয়ে কম কিসে।
- ওকে, আমি মেনে নিলাম। এখন আমি তোর সঙ্গে করবো।
- ঠাসসসসসসসসসসসসসসস
- এ তুই কি করলি? ( জান্নাত গালে হাত দিয়ে বলল)
- তুই কি সব ছেলেদের এক মনে করিস? তোর মত সব মেয়েরা যেমন খারাপ হয়না, তেমনি সব ছেলেরাও খারাপ না। রুম থেকে বের হবি? নাকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করবো।
- বেইজ্জতি করছিস?
- ধাক্কা দিয়ে বের করবো?

- ঠিক আছে যাচ্ছি। বাট মনে রাখিস। এর জবাব তোকে দিতেই হবে।
- আমার চুলটা পালাইস। যাহহ
জান্নাত হরহর করে চলে যায়। যাওয়ার সময় দরজাটায় একটা লাথি মেরেছিলো। লাথিটা আমাকে দেয়নি ভাগ্য।তবে এইটাই ছিলো আমার ভুল।জান্নাতকে বুঝানো আমার উচিৎ ছিলোনা।কিন্তু কি করবো। ফেসবুকে লেখালেখি করলেও আমি সরাসরি সব খুলে বলে ফেলি। উদাহরণ বিবরণ না দিলে, বাঙালি ট্রল করে। আবার মাঝে মাঝে উদাহরণ দিলেও ট্রল করতে দেখেছি। সে যাইহোক, আমি যেমন তেমনি। হতে পারে সেটা ভুল। আবার হতে পারে সঠিক। মূখ্য বিষয় এইটাই, রিয়েলিটি তুলে ধরা।
জান্নাত সেদিন আর আমাকে কিছু করেনি। পরেরদিন সকালে নুসরাত আমাকে কল দেয়। আমি তাকে বলেছিলাম রেস্টুরেন্ট নিয়ে যাবো। সেও রেডি হয়ে আসছে । আমাকে বলল ওয়েট করতে । আর নুসরাতের ইচ্ছেগুলো খুবই মিষ্টি। তার ইচ্ছে হলো,আমাকে রিসিভ করে নিয়ে যাবে। আমি নাকি বাসার সামনে দাঁড়াবো। এরপর সে আসলে,এক সাথে যাবো।তবে কে যেনো বলেছিলো , বেশি মিষ্টিতে তেতো হয়। জানিনা কথাটা কতটুকু সত্য। তবে দেখা যাবে।

নুসরাত বাসা থেকে বের হয়ে বাসে উঠে। আমার জন্য নাকি একটা লকেট কিনেছে। লকেটে আমার আর ওর ছবি আছে। বাসে বসেই পাগলিটা কল দিয়েছিলো। মাঝ রাস্তায় এসেই....................
(উফফ, পানির পিপসা পাচ্ছে। আসলে তিনমাস আগের কথা তো? ভাবতে লিখতে গলা শুকিয়ে গেছে। যাইহোক, আবার লেখা শুরু করি।)

বাসে বসেই পাগলিটা কল দিয়েছিলো। মাঝ রাস্তায় এসেই নাকি জ্যামে পড়েছে। ১০ মিনিট সে জ্যামেই ছিলো। কিছুদূর আসতেই বাস থেমে যায়। এখন রিক্সা নিয়ে সে সোজা আমার বাসার সামনে আসবে। বেশিক্ষণ লাগবেনা, ১০ মিনিটের রাস্তা। আমি বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলেই যাচ্ছি। তখনি শুনতে ফেলাম, ফোনের ওপাশ থেকে বিকট একটা শব্দ। শব্দটার সাথে সাথে নুসরাত চুপ হয়ে যায়। আমার কপাল ঘেমে ঘাম ঝরে যাচ্ছে। বুঝতে পারছিনা কি হয়েছে। কিছুক্ষণ পর হৈ চৈ শব্দ শুনতে ফেলাম। মনে হচ্ছে কতোগুলো মানুষ বিপদের আত্মচিৎকার করছে। যেনো পরিস্থিতি হাহাকার করে উঠলো। বুকের ভিতর আমার ধুপ ধুপ শুরু হয়ে যায়। ফোনটা রাস্তায় ফেলে এক দৌড় লাগালাম সেদিকে। চোখ থেকে অশ্রুজল উড়ে উড়ে পিছনের বাতাসের সাথে মিশ্রিত হচ্ছে। কয়েক ধাপ দৌড়ানোর পর আমি গিয়ে পৌছাই সেখানে। দেখলাম, নুসরাত সহ,আরো ৭-৮ জনের লাশ রাস্তায় পড়ে আছে। টায়ার পোড়া গন্ধ, সাথে কালো ধোয়ায় শহরটা ঘেরাও দিয়ে ফেলেছে। একটা ট্রাক আর আরেকটা বাসের সংঘর্ষণ হয়। দুটি গাড়ির ছুড়ে যাওয়া বডি উড়ে পড়ে আশেপাশে। তার মধ্যেই লুকিয়ে পড়ে নুসরাত। হ্যা,সে লুকিয়ে পড়ে,অনেক গভীরত্ব জায়গায়।যেখান থেকে আর ফেরাতো পারবোনা আমি।
৬ দিন পর.........

আমি হসপিটালের বেডে। সেদিন নুসরাতের মৃত্যু আমাকে যতটা দুর্বল করেছিলো,তার চেয়ে বেশি দুর্বল করেছে জান্নাত। জান্নাত আমাকে ৩০ মিনিট পরে কল দিয়ে বলেছিলো, " নে এবার কর প্রেম। নুসরাতকে মারতে গিয়ে আরো কয়েক জনকেও মেরেছি। এবার প্রমান হয়েছে আমি মা*গি । যত পারিস বল আমাকে, কোনো সমস্যা নাই। হা হা হা "।

কথাটা শুনেই জ্ঞান হারাই আমি। আর ৬ দিন পর চোখ মেলেছি। কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে হসপিটালের বিল পরিশোধ করে। ফ্যামিলিকে কিচ্ছুটা বলিনি। দুর্বল হতে পারে। বাসায় এসে চোখটা বন্ধ করতেই, ফোনটা বেজে উঠলো।
- হ্যালো? রিয়াজ বলছিস?
- হুম।

- শুন,আমি রনি।
- হ্যা,বল।
- জান্নাত আ**ত্ম**হ**ত্যা করেছে।
- আলহামদুলিল্লাহ। কিভাবে।
- ছাদ থেকে লাফ দিয়ে। আর তুই আলহামদুলিল্লাহ বললি কেনো?
- অনেক রহস্য। পরে শুনিস - টুট টুট টুট।
ফোনটা কেটে দিয়ে ২ ঘন্টা আগের কথা চিন্তা করলাম। জান্নাত আমাকে বাসার সামনে দেখে ডাক দিয়েছিলো। আমার মন চাইছে গলা টিপে মারি তাকে। কিন্তু সে নিজেই বলল
- এবার তো নুসরাত নেই। আমাকে বিয়ে করবি?
- তোকে?
- হুম আমাকে।
- হু করবো।
- সত্যি?( খুশি হয়ে)

- একটা শর্ত।
- বল কি শর্ত। আমি সব করতে রাজি।
- ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিছে পড়বি। মাত্র ৮ তলা বিল্ডিং। নাও মরতে পারিস। যদি বেচে যাস।তবেই বিয়ে করবো।
- যদি প্রতিবন্ধী হয়ে যাই?
- সমস্যা নেই।
- তাই হবে। বায়।
এই ছিলো জান্নাতের সাথে আমার ২ ঘন্টা আগের আলাপ। একটু শান্তি লাগছে ওর মৃত্যু সংবাদ শুনে।
১০/০৩/২০১৯।
মানে জান্নাতের মৃত্যুর কিছুদিন পর। ঘুম থেকে উঠতেই আমি বেশ অবাক হই। কক্সবাজার বাজার, হিমচড়িতে একটা পাহাড় আছে। সে পাহাড়ের উপরে একটা বিল্ডিং। আর আমি সে বিল্ডিং এর ভিতর। মাত্র ১ তলা বিল্ডিং। দরজা খুলে বেরও হতে পারছিনা। বারান্দায় এসে চিৎকার দিতে চাইলে আওয়াজ বের হয়না। এমনি নিজে নিজে কথা বলতে পারলেও, চিৎকার আমি করতে পারছিনা। সারাদিন আমার ছুটাছুটিতে কেটে যায়। বাসার ভিতরেই ছুটাছুটি করেছি। সন্ধ্যা হতেই একটা মেয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। হলুদ একটা লম্বা ড্রেস। গায়ে উড়না নেই। চুলগুলো এলোমেলো। আমি বললাম,
- কে আপনি?
- সাদিয়া।
- কোন সাদিয়া?


- শুয়ে পড় বিছানায়।
- আমি কিছু বলেছিলাম আপনাকে। কোন সাদিয়া আপনি।
মেয়েটি কোনো কথা না বলেই, আমাকে বিছানায় ফেলে। এরপর উলঙ্গ হয়ে আমার উপর উঠে। যখন আমি ওর স্পর্শ পাই, তখন সাধারণ কোনো জ্ঞান আমার থাকেনা। মনে হয়, আমি ওর হাতে রিমোট কন্ট্রোল করা কোনো পুতুল। সেদিন প্রায় সারারাত আমার সাথে যৌ**নসং**গম করে। সকাল বেলা কে যেনো খাবার টেবিলে রেখে গেছে। দুপুরবেলা ও একি অবস্থা। শুধু সন্ধায় সে আসে।এভাবে আজ ৩ মাস চলছে।
২৯/১২/২০১৯।

আজ রাতেও হয়তো করতে হবে। সূর্য ডুব দিয়ে হারাবে একটু পর। সন্ধ্যাদীপ লাল বর্ণে বর্ণিত হবে।চারদিক শীতের শীতল পরিবেশ জড়াবে প্রকৃতির অ**ঙ্গ। অন্ধকার মাখামাখি করবে তার সঙ্গে। চাঁদেরকলঙ্ক জানালা ভেদ করে প্রবেশ করবে আমার ছোট্ট কামড়ায়। তার সাথে সাথে সেও আসবে আমার সঙ্গে যৌ***ন স**ঙ্গ**ম করতে।
চলবে......?

গল্প- #অতৃপ্ত_আত্মা_কে ( পর্ব -০১)
Riaz Hossain imran

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url