#পাপ #পর্ব-৩ #লেখক:: মোঃ আঃ আজিজ | আমার গল্পে আমি খলনায়ক Ifty Mahmud Fahim | breastfeeding 10 year old baby

ট্রেন আসছে আর আমিও ট্রেনের নিচে ঝাপিয়ে পাড়ার জন্য প্রস্তুত। পাপী দের এই পৃথিবীতে থাকার কোনো অধিকার নেই। মৃত্যুর আগে মনে হয় সবারই প্রিয়জন দের সাথে কাটানো সময় গুলো মনে পড়ে যায়,,, সে হোকনা একজন ভালো মানুষ অথবা পাপী। আমারও তার বিপরীত হলো না। নিশির সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত যেনো আমার চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে। 

#পাপ

#পর্ব_৩

#লেখক_মোঃ_আঃ_আজিজ

বিদায় পৃথিবী,,,,, আর যেনো কোনো পাপীর জন্য রুপার মতো নিষ্পাপ মেয়েদের সতিত্ব না হারাতে হয়।
আমি দিলাম লাফ।
কিন্তু একি সামনের দিকে না গিয়ে পিছনের দিকে আসলাম কেনো। আর আমি ট্রেনের নিচে না পড়ে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানেই ফ্লোরে পড়ে গেলাম।
মনে হলো কেউ একজন পিছনে থেকে টান মেরেছেন। উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি নিশি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

নিশির চোখ গুলো ফুলে লাল হয়ে আছে। মনে হয় অনেকক্ষণ কান্না করেছে।
আমার শার্টের কলার ধরে উপরে তুলে টানতে টানতে বাড়িতে নিয়ে আসলো। আসার সময় নিশি একটা কথাও বলে নাই। আমিও বলি নাই,,, কিন্তু সারা রাস্তা ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম মুখটা একদম রাগে ভরপুর হয়ে ছিলো।
রুমের মধ্যে নিয়ে এসে আমাকে খাটের ওপর বসিয়ে দিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে রিয়া।
তারপর নিশি,,,,,
নিশি-- এসবের মানে কি? (রাগী সাথে কান্না মাখা কন্ঠে)
আমি-- চুপ করে আছি।

নিশি-- আমি কিছু বলছি। কথা গুলো কি কানে যাচ্ছে না। এই চিঠি টার মানে কি? (এইবারে কেঁদে দিলো)
আমি-- উপায় ছিলো না( নিচের দিকে তাকিয়ে)
নিশি-- শুধু নিজের কথাই চিন্তা করলে। একবারো আমার আর আমার ভিতরে যে বড় হচ্ছে তার কথাটা চিন্তা করলে না? তুমি এতটা সার্থ পর?

আমি-- তোমার ভিতরের টা মানে বুজলাম না?
নিশি-- মানে আমি মা হাত চলেছি আর তুমি বাবা।
নিশির কথা শুনে আমার চোখ দিয়ে এবার পানি বেরিয়ে আসলো। আমি কি বলবো কিছুই মাথায় আসছে না। তারপরও বললাম,,,,
আমি-- তুমি জানো না নিশি আমি কত বড় একটা পাপ করেছি। আমি অনেক বড় পাপী অপরাধী। এই পৃথিবীতে আমার বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই। আমি চাই না আমার পাপের মাশুল তোমাকে দিতে হোক। তুমি জানো না নিশি তুৃমি কিছুই জানো না। ( কাঁদতে কাঁদতে)
নিশি-- আমি সব জানি।
আমি-- মানে,,,,,,,,, কি জানো তুমি?

নিশি-- তার আগে তুমি কিছু খেয়ে নাও আজ দুই দিন তুমি না খেয়ে আছো সাথে আমাকেও না খাইয়ে রাখছো।
আমি-- মানে তুমি খাও নাই
নিশি-- তোমাকে ছাড়া কোনো দিন খাইছি।
আমি-- নাহ। কিন্তু তার আগে বলো তুমি কি জানো।
নিশি বলতে শুরু করলো,,,,,,,,,

নিশি-- তাহলে শোনো। আমি কোনো প্রমোশন পাই নাই আমার অফিস থেকে।
সেদিন যখন অফিস থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম রাস্তায় রুপা ভাবীর সাথে দেখা হলো। আমি রুপা ভাবীকে আগে থেকেই চিন্তাম তোমার অফিস থেকেই তার সাথে আমার পরিচয়। মেয়েটাকে কেমন কেমন যেনো লাগছিল। তাকে যখন আমি জিজ্ঞেস করলাম তার এমন অবস্থা কেনো।

তিনি যেনো কিছুতেই বলতে রাজি নন। পড়ে জোরাজোরি করাতে রুপা ভাবী আমাকে জরিয়ে ধরে কেদে দিলেন।
তার দিকে খেয়াল করে বুজতে পারলাম তার জামাকাপড় ঠিকঠাক নেই। তখনি বুঝতে পারলাম তার সাথে কিছু একটা হয়েছে। পড়ে যখন আরও জোর করলাম তখন তিনি তোমার কথা যা বললেন তা শুনে আমি একদম ( বলেই নিশি কেঁদে উঠলেন) তুমি ওনার সাথে এমনটা করতে পারো এটা আমি কিছুতেই বিশ্বাস করি নাই বিশ্বাস কর। তারপর রুপা ভাবীকে অবিশ্বাস করে তাকে আরো দু-চার টা কথা শুনিয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। তারপর মনে হলো তুমি যদি সত্যি রুপা ভাবীর সাথে ওই কাজ টা করে থাকো। তাই আমাদের রুমে না ডুকে জাহানারা আপা দের রুমে কলিং বেল বাজাই। তারপর জাহানারা আপা এসে দরজা খুলে দেন। আর আমি তাদের বাথরুমে গিয়ে আমার জামাকাপড়ও ওলট-পালট করে নেই যেমনটা রুপা ভাবীর ছিলো।

আর তাই তোমার নজরে আসার জন্য প্রমোশন এর কথা টা বলি এবং পাইচারি করি।
জানো তোমার মুখে যখন ভয়ের ছাপ দেখতে পেলাম তখন আমার কতটা কষ্ট হচ্ছিল। আমি বুঝতে পেরে গেলাম তুমি রুপা ভাবীর সাথে ওই নিচু কাজ টা করেছো।
শত কষ্টের মঝেও মুখে হাসির ছাপ এনে রাখা ছিলাম।
আমি-- তাহলে যে তোমায় কাল দেখলাম ওই হোটেলে কার সাথে যেনো বসে আছো।
নিশি-- হা হা হা। ওইটা আমার ছোট ভাই রিফত ছিলো। আমি যখন জানতে পারলাম রুপা ভাবীর অনেক টাকার দরকার। আর তিনি টাকার জন্য তোমার সাথে ওই নোংরা কাজ করতে বাধ্য হয়েছে তখন আমি কিছু টাকার জন্য রিফাত কে বলি।

আর টাকা টা নিয়ে যখন রুপা ভাবীর কাছে গেলাম তখন তিনি বললেন তুমি নাকি এসেছিলে তার কাছে টাকা দেবার জন্য আর তার কাছে ক্ষমা চাইবার জন্য।
তখন আমার খুব ভালো লেগেছিল জানো তুমি আজিজ। আর সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিলো তুমি যখন নামাজ পড়া শুরু করলে তখন।
আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আজিজ। তোমাকে ছাড়া আমিও যে বাঁচতে পারবো না(কান্না করতে করতে নিশি)
একটা ভালো জীবন সঙ্গী আপনাকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। 
.........…........সমাপ্ত...................

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।


Mother who actually breastfeeds her children matured five and six preceding school and surprisingly on the jungle gym says she won't stop until they're prepared - regardless of one kid needing to nurture until he's TEN

  •     Sheryl Wynne, 39, from Wakefield, West Yorkshire, nurture her 5 and 6-year-old
  •     She contends that breastfeeding her school-matured children is 'totally typical'
  •     The mum won't stop until they're prepared - yet one needs to proceed until he is 10
  •     Medical attendants them before school, during the constantly - and in the jungle gym


A mother who actually breastfeeds her two young men, matured five and six, has said she won't stop until they conclude they are prepared - regardless of one child guaranteeing he needs to be breast fed until he is 10.

 

#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#part_17

Ifty Mahmud Fahim

"কথাটা বলেই রায়হান রাজিবের গলায় রশি পেচিয়ে ধরে।রশি দিয়ে গলা পেচিয়ে ধরতেই, রাজিব ছটফট করতে শুরু করে। বাঁচার জন্য রায়হানের হাতে, খামচে ধরে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয় না, রায়হান আরো জুড়ে রশি পেচিয়ে টান দেয়। রাজিব ছটফট করতে করতে মারা যায়। রাজিবের নরা-চড়া বন্ধ হয়ে যায়।রাজিব আর এই দুনিয়াতে নেই, এটা বুঝতেই রায়হান গলার মধ্যে পেচিয়ে রাখা রশি সরিয়ে ফেলে। তারপর রাজিবের পকেট থেকে ফোনটা বের করে অন করে। যাক ভালোই হয়েছে ফোনটিতে লক দেওয়া নেই। তারপর রায়হান গ্যালাড়িতে প্রবেশ করে। 

একে একে সব ছবি দেখতে দেখতে নিচে একটা ছবি দেখার সাথে সাথে রায়হানের মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে যায়।সে যেনো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটা কি করে সম্ভব! ও কি করে আমাদের ম্যাডাম হতে পারে,,,,,।সময় নষ্ট না করে রায়হান রাজিবের কল লিস্টে যায় । কল লিস্টে গিয়ে ও ছবিতে দেখা মহিলার নাম্বার দেখতে পায়। আমার মাথা একদম কাজ করছে না! এটা কি করে সম্ভব! ওর মতো একটা বোকা মহিলা কিভাবে এই নারী চক্রের মূল হোতা হতে পারে।

রায়হান আর সময় নষ্ট না করে রাজিবের লাশটি কে টেনে হিচরে নিয়ে যায় ফ্যাক্টরির পিছনে। ওখানে ঘন জঙ্গল থাকায় লোকজন আসা যাওয়া করে না । এখানেই রাজিবের লাশটা পুঁতে ফেলতে হবে,, তাই আর সময় নষ্ট না করে সাথে আনা মাটি খুরার যন্ত্র দিয়ে মাটি খুরতে শুরু করে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে মাটি খুরে রায়হান একদম ক্লান্ত হয়ে যায়। বেশি যায়গা খুরতে পারে নাই,, যতোটুকু হয়েছে এখন এভাবেই মাটি চাপা দিতে হবে । আর সময় নষ্ট না করে রাজিবের লাশটিকে গর্তে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দিতে শুরু করে। 

রাজিবের লাশটি কে মাটি চাপা দিয়ে রায়হান আবারও ফ্যাক্টরির ভিতরে আসে। ফ্যাক্টরির ভিতরে আসতেই তার চোখ যায় গাড়িটার দিক। তারপর গিয়ে মালবাহী ট্রাকের সামনে দাঁড়ায়,রায়হান সাথে সাথে ট্রাকের গেইটটা খুলে। গেইট খুলার সাথে সাথে দেখতে পাই তিশাকে হাত-পা বেঁধে, মুখে টেপ লাগিয়ে গাড়ির মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে, তিশার সাথে বাকি চব্বিশটা মেয়ের অবস্থা ও এক-ই, তাদের কে ও হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ লাগিয়ে ফেলা রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত শরীর খারাপের কারনে,তিশা সেন্স লেস হয়ে গিয়েছে। সকল মেয়েদের অবস্থা ও খারাপ, কতদিন ধরে তাদেরকে এই নরকে আটকে রাখা হয়েছে তারা হয়তো নিজেরাও জানে না। না ঠিক মতো খাবার খেতে দিয়েছে, না ঠিক ভাবে ঘুমাতে দিয়েছে। তাদের ওপর দিয়ে চলেছে শুধু পাশবিক নির্যাতন।

এই একদিনে তিশার অবস্থা ও অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছে,আগে থেকেই কোমরের মধ্যে ব্যাথা ছিলো,এখানে নিয়ে আসার পরে তা দ্বিগুণ হয়েছে। কাল থেকে না খাওয়া, তারওপর হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা এই সবকিছু মিলিয়ে ভয়ে আর দূর্বলতায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে তিশা।তিশার এই অবস্থা দেখার সাথে সাথে রায়হানের কপালের রগগুলো ফুলে যায় , চুওয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। রায়হান মনে মনে নিজেই আওরাই,,কাজটা তুমি ঠিক করো নাই ম্যাডাম। এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে, যা হবে খুব ভয়ানক। 

আমার মেয়েটা এমনিতেই অসুস্থ, তুমি জানা সত্যেও তার সাথে এরকম একটা খারাপ কাজ করলে।এই কারনেই তোমাদের মতো মহিলাকে আমি রায়হান ঘৃনা করি!চরম ঘৃনা।আমার থেকে তুমি প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আমার মেয়েকে এই মরণ খেলায় নামিয়ে বড়ো ভুল করেছো।যার ভর পাই তোমাকে তোমার মৃত্যু দিয়ে দিতে হবে! এবং তা খুব শীগ্রই। নিজের মৃত্যুর দিন গুনতে শুরু করো,তোমাকে আবারও মেরে আমি,,,#আমার_গল্পে_আমি_খলনায়ক হবো,,,,বলেই পৈশাচিক হাসি হাসে!

রায়হান কে গাড়ীর দরজা খুলতে দেখে ময়েগুুলো ভয় পেয়ে যায়। পিট পিট করে তাকাই দাড়িয়ে থাকা লোকটার দিকে,, তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে,,, মেয়ে গুলো এখন আরও ভয়ে সিটিয়ে যায়।রায়হান মেয়েগুলো কে ভয় পেতে দেখে,,তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে,,,
__ভয় পেও না! আমি তোমাদের কোনো ক্ষতি করবো না। আমি তিশার বাবা, তোমাদের এখান থেকে নিয়ে যেতে এসেছি।নারী পাচার-কারীরা চলে গেছে পালিয়ে, তোমাদের আর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এখন তোমরা সবাই নিজেদের বাড়িতে আবারও ফিরে যাবে। আমি তোমাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।

রায়হানের মুখে এইসব কথা শুনার পরে মেয়েগুলোর মুখে যেনো আশার আলো দেখা দিয়েছে।এতখন তো তাদের মনে হচ্ছিলো যে আজকেই তাদের পাচার করে দেওয়া হবে, কিন্তু এই লোকটার কারনে তারা আজ বেঁচে যাবে। কিন্তু তারা তো আর জানে না যে তাদের এই পাচার করার পিছনের মুল হোতাদের মধ্যে একজন উনিও। কিন্তু নিজের সার্থে হাত পড়াই উনি পল্টি খেয়ে যান। যদি জানতো তাহলে হয়তো আর আশার আলো দেখতে পেতো না।

রায়হান একে একে সব-কয়টা মেয়ের হাত -পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। সবার লাস্টে আসে তিশার কাছে, এখনো অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। মুখটা মলিন হয়ে আছে, একদিনে মেয়েটার অবস্থা একদম নাজেহাল করে দিয়েছে,মেয়েটার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।আসলে একজন বাবা যতোই খারাপ হোকনা কেনো তার সন্তানের প্রতি সে কখনো নির্দয় হতে পারে না। আর একটা মেয়েকে পৃথিবীতে তার বাবার থেকে হয়তো কেও বেশি ভালো বাসে না। এটা ঠিক যে ও একজন নারী পাচার কারী,, কিন্তু সে ও একজন মানুষ। তার ও সকলের মতোই মন রয়েছে, মনে রয়েছে ভালো বাসা, কিন্ত পরিস্থিতি তাকে এমন বানিয়ে দিয়েছে। দিশার জন্য যেমন তার মনে ভালোবাসা আছে,, তিশার জন্য ও সেম ভালোবাসা।তিশার এই অবস্থা দেখে, তার চোখ দিয়ে দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে। 

রায়হান গিয়ে তিশার সামনে বসে তিশার মাথাটা নিজের পায়ের ওপর রেখে হাত -পায়ের বাধনটা খুলে দেয়।তারপর মেয়েকে হালকা হাতে বুকে আগেলে নেয়।এভাবে কিছুখন থাকবার পরে তিশাকে কোলে তুলে নিয়ে গাড়ী থেকে বের হয়ে আসে। সাথে মেয়েগুলো ও গাড়ী থেকে বের হয়ে আসে। তারপর থানায় কল করে পুলিশ কে আসতে বলে।রায়হান এখানে আসার আগে থেকেই পুলিশ কে বলে রেখেছিলো যে আজকে একটা নারী পাচারকারী গ্যাং এর থেকে মেয়েদের কে ওদ্ধার করবে,ওখানে উনার নিজের মেয়েও আছে। এতে যদি ও রায়হান কে সাহায্য করার কথা বললেও রায়হান না করে দেয়। রায়হানের বন্ধু একজন এসপি পদে থাকায় আরোও সুবিধা হয়েছে রায়হানের ওপর কেও সন্দেহ করে নি। অবশ্য রায়হানের এসপি বন্ধু জানে না যে রায়হান নারী পাচার কারী গ্যাংএর একজন মেম্বার। 

যদি জানতো আদৌও রায়হান এতোদিন বাহিরে ঘুরতে পারতো না৷ তাকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়তো তার বন্ধু, সে নিজের যায়গায় একদম স্ট্রীক্ট।রায়হানের ওপর ও সন্দেহ এর তীর যেতো, কিন্তু তার মেয়ে থাকার সে এইবারের যাএায় বেঁচে যায়।
কিছুখনের মধ্যেই পুলিশ এসে পরে,,,, পুলিশ এসে এখানে এতখন যা যা হয়েছে তা রায়হান কে জিজ্ঞেস করে। রায়হান অনেক কিছু বানিয়ে বলে দেয় পুলিশ কে। এবং মেয়েদের জিজ্ঞাসা বাদ করা হলে তারাও বলে যে রায়হান আংকেল এর জন্য তারা বেঁচে গেছে,তাই পুলিশ আর রায়হানের ওপর সন্দেহ করে নি। চব্বিশটা মেয়েকে সাথে করে নিয়ে থানার চলে যায়। আজকে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে কালকে তাদের নিজ নিজ বাড়ীতে পৌঁছানোর ব্যবস্তা করা হবে। 

আর কাল থেকেই পুলিশ ফোর্স নেমে পড়বে,নারী পাচারকারী গ্যাংকে ধরার জন্য। রায়হান তার এসপি বন্ধুর মুখে এই কথাটা শুনে কিছুটা ঘাবড়ে যায়। যদিও বন্ধুর সামনে কোনো রিয়াকশন দেয় নাই।কিন্তু বন্ধু যাওয়ার পড় সে অনবরত ঘামতে শুরু করে, তার বন্ধু আজ পর্যন্ত একটা কেইস ও হারে নাই। এই নারী পাচারকারী কেইসটাও যে তার বন্ধু হারবে না সে তা ভালো করেই জানে, শুধু একটু টাইম লাগবে কিন্তু সে লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে ছাড়বে।
পুলিশ মেয়ে গুলো কে নিয়ে চলে গেছে সেই কখন, রায়হান ও আর সময় নষ্ট না করে তিশাকে কোলে তুলে গাড়ী অব্দি নিয়ে আসে। 

তিশাকে গাড়ীর সিটে রেখে,, গাড়ী থেকে বেড়িয়ে আসতে যাবে এমন সময় তিশার জ্ঞান ফিরে আসে,,, সে তার চোখের সামনে তার বাবা -কে দেখে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয়,,,,মেয়েকে এভাবে বাচ্চাদের মতো কাদতে দেখে রায়হানের চোখ দিয়েও পানি গরিয়ে পরতপরতে শুরু করে। একজন বাবার কাছে সবচেয়ে আদরের মানুষ টি হলো
তার মেয়ে

একটা মেয়ে কে তার বাবার চেয়ে আর কেউ ভালোবাসতে পারেনা
বাবা হচ্ছে এমন একটি রাজা যার রাজত্বে মেয়েরা সবসময় রাজকন্যা হয়ে থাকে
কারণ প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে রাজকন্যা
বাবা মানে..?
জড় কলম, সাদা পাতায় লিখন ।
বাবা মানে..?
আবদার করার পাত্র, নেই কোনো স্বার্থ ।
বাবা মানে …?

বাবার নামে, আমাকে সকলে চেনা, প্রথম পথ চলা
বাবা মানে…?
সকল ছেলে মেয়ের ব্যাংক একাউন্ট ।
বাবা মানে… ?
প্রথম শিক্ষার আলয়, নিরাপদ আশ্রয় ।
বাবা মানে …?
পুরনো ড্রেসে নতুন মনোভাব, দেখতে দেয়না অভাব।
বাবা মানে …?
গুরুজনদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় শেখানো ।
বাবা মানে …?

গল্পের আড়ালে থাকা, একজন মহানায়ক ।
কিন্ত এর কোনোকিছুই আমি করতে পারিনি আমার মেয়ে তিশার জন্য। আমি ওর গল্পের আড়ালে থাকা, একজন মহানায়কের যায়গায় হয়ে গেলাম #খলনায়ক
রায়হান হালকা হাতে তিশার মাথা তুলে চোখের পানি মোছে দিয়ে গাড়ী থেকে বের হয়ে এসে কাকে যেনো কল লাগায়,,,,কয়েকবার কল দিতেই ওপাশ থেকে কল রিসিভ করে,,,,
__হ্যালো আংকেল তিশাকে পেলেন! ও এখন কেমন আছে! ওকে নিয়ে কি হসপিটালে যাচ্ছেন নাকি বাসায়। হসপিটালে গেলে আমাকে বলেন কোন হসপিটালে যাচ্ছেন! আমি ওখানে আসছি।


কিছুটা আগ্রহ নিয়ে কথাগুলো বলেন সায়ান
__হুম তিশা আমার সাথেই আছে। ওকে নিয়ে এখন বাসায় বা হসপিটাল কোথায় ই যাওয়া হচ্ছে না।
__তো কোথায় যাবেন আংকেল ওকে নিয়ে!
__কাজী অফিসে,তুমি তাড়াতাড়ি কাজি অফিসে চলে আসো। "যদি তোমার তিশাকে বিয়ে করতে কোনো আপওি না থাকে'।কথাটা বলেই রায়হান কলটি কেটে দেয়।
সায়ানের রায়হানের বলা কথাটি বুঝতে কিছুটা টাইম লেগে যায়! এটা কি স্বপ্ন দেখছে নাকি সত্যি! সে তার পছন্দের মেয়েকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাবে।সায়ান একমুহূর্ত দেরি না করে রেডি হয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে পরে,, কাজী অফিসের উদ্দেশ্যে,,।

সায়ানের সাথে কথা বলা শেষ করে রায়হান মুঠোফোনটি পকেটে রাখতে নিবে এমন সময় আবার কে যেনো কল করে রায়হানের মোবাইলে,,,, কে কল করেছে দেখার জন্য মোবাইল সামনে নিতেই আহিলের নাম দেখে কিছুটা ভ্রকুচকে ফেলে রায়হান। রায়হান সাথে সাথে কলটি কেটে দেয়,, কিন্তু আবার আহিলও সাথে সাথেই কল করে,,,,,রায়হান না পারতে আহিলের বার বার কল দেওয়ায় বিরক্তি নিয়ে কলটি রিসিভ করে।

__হ্যালো কাকা, তিশাকে পেয়েছেন! ও এখন কেমন আছে, কাকা প্লিজ বলেন না। ও ভালো আছে তো,,,আহিলের মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না কান্নার জন্য।
রায়হান কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলে,,,

__হ্যাঁ তিশাকে পেয়েছি । কিন্তু, তোমাকে না বলেছি আমার মেয়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে, তাহলে আমার মেয়ের খুঁজ কেনো নিচ্ছো।
__কাকা আজকেই লাস্ট বারের মতো, আর কখনো তিশার সামনে ও আসবো না। আপনি তাড়াতাড়ি তিশাকে নি বাসায় আসেন৷

__তিশাকে নিয়ে এখন বাসায় আসতে পারবো না, আর তিশা কখনে ওই বাসায় আর ফিরে যাবে না। ওকে নিয়ে আমি এখন কাজী অফিসে যাচ্ছি। আজকে তিশাকে বিয়ে দেবো সায়ানের সাথে। তুমি আর আমার মেয়ের কাছে আসতে পারবে না । আমার মেয়েকে তুমার থেকে মুক্তি দেবো আমি।কথাগুলো ব'লে কলটি কেটে দেয় রায়হান।

রায়হানের মুখে তিশার বিয়ের কথা শুনার সাথে সাথে আহিলের রক্ত গরম হয়ে ওঠে, হাতে থাকা মোবাইলটি কে এক আছাড় মেড়ে ভেঙে ফেলেছে। সে তার প্রেয়সী কে কিছুতেই হারাতে চায় না। তার প্রেয়সী অন্য কারো হয়ে যাবে সে এখানে বসে থাকবে তা কি করে সম্ভব! তাই আহিলও তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেড়িয়ে পরে কাজী অফিসের উদ্দেশ্যে,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url