#ছদ্মবেশি_পিশাচ। পর্বঃ-সাত(শেষ পর্ব) লেখাঃ-সিহাব হোসেন। Breastfeeding Toddlers – Why Continue Breastfeeding?

#ছদ্মবেশি_পিশাচ।
পর্বঃ-সাত(শেষ পর্ব)
লেখাঃ-সিহাব হোসেন।


মারিয়া রুমে চুপ করে বসে আছে।সে বুঝতে পারছে না তার এখন কি করা উচিত।এই মুহুর্তে ওর পাশে দাড়ানোর মতো এখন আর কেউ নেই।বার বার ইচ্ছা হচ্ছে সে নিজে নিজেকে শেষ করে দিবে।কিন্তু সেটাও সে করতে পারছে না।ইরফান বাইরে কোথায় যেন গেছে।মারিয়ার সামনে বিড়াল রুপি পিশাচটা বসে আছে।সামিউলকে নিয়ে মারিয়ার বেশ চিন্তা হচ্ছে না জানি ছেলেটা এখন কোথায় আর কোন অবস্থায় রয়েছে।নিজে হাতে সে ছেলেটাকে বিপদের হাতে ঠেলে দিয়েছে।এখন যে করে হোক সামিউলকে বাঁচাতে হবে সেই সাথে এই খারাপ কাজের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।এমন সময় ইরফান ভিতরে এলো।মারিয়া বলল

->সামি কোথায়?আপনি ওর সাথে খারাপ কিছু করেননি তো?
->আপাতত কিছু করিনি।তবে যদি রাজি না হয় তাহলে সে আমার পিশাচের হাতে চলে যাবে।আর তখন কি হবে আমি বলতে পারবো না।
->না এমন করবেন না আপনি।সামিকে আপনি পেলেন কিভাবে?
->ওই যে সে কাল আমার পিছু নিয়েছিলো তখনই রাস্তার মধ্যে ওরে ধরে ফেলি।এখন তুমি পারো ওকে বাঁচাতে।এখন কি করবে সিদ্ধান্ত তোমার।
->আমি রাজি তো আছি।আপনি ওকে ছেড়ে দিন।
->ঠিক আছে আমার সাথে এসো তোমায় কিছু দেখায়।
ইরফান মারিয়াকে নিয়ে সেই বন্ধ রুমের দরজার কাছে আসলো।ইরফান চাবি দিয়ে দরজা খুলে মারিয়াকে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো।মারিয়া ভিতরে ঢুকতে দেখলো সেখানে বেশ কয়েকটা মানুষের মাথার খুলি পড়ে আছে।আরো রয়েছে কয়েকটা বাটি সেগুলো কেমন যেন লাল রংয়ের মতো।আর ওর সামনে বিশাল বড় একটা সিংহাসন যেটার ওপর একটা শিং ওয়ালা মূর্তি বসানো।মারিয়া বলল
->আমায় এখানে নিয়ে আসলেন কেন?
->এখানে তো তোমার সামিউল রয়েছে।
->কোথায় সে?

তখন ইরফান গুলো ডান দিকে আঙ্গুল ইশারা করলো আর তখন সেখানকার দরজা খুলে গেলো।মারিয়া দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো সামিউলকে শূন্যে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে।ওর নিচে বিশাল বড় বড় সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে।মারিয়া চোখ বড় বড় করে বলল
->ওকে এভাবে রেখেছেন কেন?একটু হলেই তো ওই সাপ গুলো ওকে কামড় দিবে।
->ভয় নেই আমি ইশারা না করা পর্যন্ত ওই সাপগুলো কিছু করবে না।
->দয়া করে ওকে ছেড়ে দেন।
->রাজি হলেই ছেড়ে দিবো।
এই বলে ইরফান ওই দরজার সামনে গিয়ে সামিউলকে বলল
->আমি তোমায় যেটা বলেছিলাম সে কাজ করবে কি না বলো?
->আমি এই কাজ কখনো করবো না কারন মারিয়া এখন অন্য কারো স্ত্রী।আর তাকে আমি বিয়ে ছাড়া কখনো স্পর্শ করতাম না।

তখন ইরফান মারিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল
->তুমি বুঝাও ওকে একটু।
তখন মারিয়া সামনে এগিয়ে গিয়ে বলল
->সামি এই ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই তুমি দয়া করে বুঝার চেষ্টা করো।তুমি রাজি হয়ে যাও।আমায় তো বুঝতে পারো।
মারিয়ার কথা শুনে সামিউল ভাবতে লাগলো,,মারিয়া তো সহজে কোন কিছুতে হ্যাঁ বলে না।নিশ্চয় তার পিছনে কোন কারন থাকে।এখনও হয়তো এমন কোন কারন আছে।কারনটা কি সেটা জানার জন্য সামিউলকে মারিয়ার সাথে আলাদা কথা বলা জরুরি।আর কথা বলার সুযোগ পাওয়ার জন্য রাজি হতে হবে ইরফানের শর্তে।সামিউল বলল
->আমি আপনার শর্তে রাজি।
আর তখন ইরফান হাতের ইশারা করলো সাপগুলো সরে গেলো।সামিউল তখন মাটিতে পড়ে গেলো।মারিয়া দৌড়ে সামিউলের কাছে গেলো।মারিয়া সামিউলকে ধরে তুললো তারপর বলল
->তুমি ঠিক আছো তো?
->হ্যাঁ আমি ঠিক আছি।
তখন ইরফান হাসতে হাসতে বলল

->তোমাদের দুই জনের মধ্যে তো ভালোবাসা অনেক।ভালোবাসা বেশি হলে কিন্তু তাদের থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান খুব পরিপুষ্ট হয়।যাই হোক তুমি ওকে নিজের রুমে নিয়ে যাও।
মারিয়া সামিউলকে নিজের রুমে নিয়ে আসলো।মারিয়া দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিলো।ইরফান সেটা দেখে হাসলো।মারিয়া সামিউলকে বলল
->তোমার ওপর খুব বেশি অত্যাচার করেনি তো?
->না আমি একদম ঠিক আছি।তুমি এসব করতে রাজি হলে কেন?আমি তোমার সাথে বিবাহ ব্যতিত একদম এমন কাজ করতে পারবো না।
->হুম জানি আর আমিও করবো না।শোনো আমি রাজি হয়েছি কারন এছাড়া তোমাকে বাচানোর কোন উপায় ছিলো না আর ইরফান তোমার মা-বাবাকেও আমার পরিবারের মতো মেরে ফেলতো।
->মানে তোমার পরিবারের সদস্যদের ইরফান মেরেছে?
->হ্যাঁ।ওই শয়তানটা আমার কলিজার টুকরোটাকেও ছাড়ে নি।
->কষ্ট পেও না মারিয়া।ওই শয়তান ওর শাস্তি পাবে।
তো এখন কি করবে বলো?
->শোনো ইরফান প্রতিরাতে শয়তানের পুজো করে আর আজ যখন এটা করতে যাবে তখন আমরা এখান থেকে চলে যাবো এটাই একমাত্র পথ আমাদের বাঁচার।
->ও কিছু বুঝতে পারবে না তো?

->না।ওই ভাববে এই রাতের আধারে আমরা মিলনে ব্যস্ত রয়েছি তাই সে কিছু করবে বলে মনে হয় না।
->ঠিক।এখন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।

যখন রাত হয়ে গেলো তখন প্রতিদিনের মতো ইরফান সেই পুজোর রুমে গেলো।আজ ইরফান অনেক খুশি কারন ওর অনেক দিনের সাধনা খুব শীঘ্রই পূরন হতে চলেছে।আর এই সুযোগে মারিয়া আর সামিউল বাড়ির থেকে বের হয়ে গেলো।বাইরে এসে দুইজনে চমকে উঠলো কারন ওদের সামনে অনেক নারী-পূরুষ দাড়িয়ে আছে।প্রত্যেকের চেহারা কেমন যেন বদলে যেতে লাগলো।সবার পা মাটি থেকে উপরে ভাসছে,,হাতে বিশাল বড় নখ,,চোখ থেকে যেন উপচে আগুন বেরিয়ে আসছে।হঠাৎ ওরা ওদের দুইজনের দিকে তেড়ে এলো।তখন সামিউল আর মারিয়া দৌড়াতে লাগলো কিন্তু বেশিদুর দৌড়াতে পারলো না কারন চারদিক থেকে সব পিশাচদের দল ওদের ঘিরে ধরেছে।কয়েকজন পিশাচ মিলে ওদের দুইজনকে টেনে ইরফানের কাছে নিয়ে গেলো।দুইজনে দেখলো ইরফান মাটি থেকে শূন্য বসে আছে চোখ বন্ধ অবস্থায়।হঠাৎ ইরফান চোখ খুলে তাকালো।চোখ থেকে আগুন উপচে পড়ছে ওর।ইরফান রেগে মারিয়াকে বলল
->মেয়ে মানুষের এতটা চালাকি ভালো না।বেশি চালাকি করার কারনে মিহিকে মরতে হয়েছিলো।কি ভেবেছিলে পালিয়ে যাবে তুমি কখনো তা পারবে না কারন এই এলাকায় দিনে যাদের মানুষ হিসেবে দেখো এরা আমার পালিত পিশাচ।এই এলাকার মানুষ তো সেই কবে আমার বলি হয়ে গেছে।
->তোর মতো নরপিশাচ মানুষ মারা ছাড়া আর কি করতে পারে।
->ঠিক বলেছো।এখন যদি তোমরা আমার ইচ্ছা পূরন না করো তাহলে দুইজনই মরবে।
তখন সামিউল বললো

->এবার আমরা না তুই মরবি।
->ঠিক আছে পারলে মেরে দেখা।
সামিউল ইরফানের দিকে যাবে কিন্তু দেখলো সে ওর হাত পা নাড়াতে পারছে না।ইরফান ওর পিশাচ শক্তির দ্বারা সামিউলের হাত-পা অবশ করে দিছে।মারিয়ার অবস্থাও একই রকম।মারিয়া চোখ বন্ধ করলো এমন সময় ও শুনতে পেলো
->আম্মু তুমি ভয় পেও না তুমি না অনেক সাহসি।আর তোমার ছেলে তোমার সাথে আছে।ওই শয়তানের ক্ষমতার চেয়ে তোমার মনের ক্ষমতা বেশি।তোমার পায়ের নিচে শাবল আছে তুমি ওটা তুলে মেরে দাও শয়তানটার বুকে।

মারিয়া বুঝতে পারলো কথাটি তার ছেলের।সে চোখ খুলে ওই শাবল তুলে ইরফানের বুকে মেরে দিলো।ইরফান জোরে চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে গেলো।ইরফান বলল
->কাজটা ঠিক হলো না।
->তোর সাথে এমনটা হওয়া উচিত।
তখন আশেপাশে থাকা পিশাচ গুলো মারিয়া আর ইরফানের ওপর হামলা করতে যাবে আর তখন সামিউল ওর সামনে থাকা তেলের বোতল আগুনে ফেলে দিলো ওমনি ইরফানের গায়ে আগুন লেগে গেলো।আর একের পর এক পিশাচ ধ্বংস হতে লাগলো।সামিউল মারিয়ার হাত ধরে বাইরে নিয়ে যেতে লাগলো এমন সময় দেখলো সেখানে মেঘ দাড়িয়ে থেকে হাসছে।এটা দেখে মারিয়ার অনেক খারাপ লাগলো মারিয়া কিছু বুঝে উঠার আগে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে গেলো।সামিউল মারিয়াকে নিয়ে বের হয়ে আসলো।সামিউল আর মারিয়া রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।রাত শেষ হয়ে সবে ভোর হতে চলেছে।মারিয়ার মন অনেকটা খারাপ নিজের ছেলের জন্য।সামিউল মারিয়াকে বলল
->মন খারাপ করে আছো?
->কই না তো?
->আমার চোখ কে কিন্তু ফাঁকি দিতে পারবে না।
->আমার তো আর কেউ রইলো না।
তখন সামিউল হেসে জবাব দিলো
->কে বললো তোমার কেউ নেই।তোমার সামি তো তোমার পাশে আছে।তুমি তোমার সামির মিষ্টি বউ হয়ে থাকবে।
মারিয়া মুচকি হেসে জবাব দিলো
->একজন ডিভোর্সি মেয়েকে কি তোমার ফ্যামিলি মেনে নিবে।তাও একবার না দুইবার বিয়ে হয়েছিলো কিন্তু আমার।

->ও নিয়ে ভেবো না।আমার ওপর ছেড়ে দাও।
মারিয়া আর কিছু না সামিউলের পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো।
এরপর সামিউল মারিয়াকে নিয়ে নিজের বাসায় যায় আর সামিউল ওর মা-বাবাকে সবকিছু বলে।প্রথমে সামিউলের বাবা-মা রাজি হয়না কিন্তু সামিউলের জোরাজোরিতে রাজি হতে বাধ্য হয়।দুইজনের বিয়ে হলেও সামিউলের মা-বাবা মারিয়ার সাথে তেমন ভালো ব্যবহার করতো না কিন্তু মারিয়া ধৈর্য ধরে নিজের ভালোবাসা দিয়ে সবার মন জয় করে।তারপর থেকে সামিউলের পরিবারের সবাই মারিয়াকে খুব ভালোবাসে।সবার ভালোবাসায় মারিয়া নিজের পরিবার হারানো কষ্ট ভুলেই গেছে।আর খুব শীঘ্রই মারিয়া আর সামিউলের জীবনে নতুন এক অতিথি আসতে চলেছে।মারিয়ার বিশ্বাস তার এই নতুন অতিথি তার হারিয়ে যাওয়া মেঘ হয়ে ফিরে আসবে।
(সমাপ্ত)
Breastfeeding Toddlers

Breastfeeding through toddlerhood isn't a nurturing prevailing fashion or another frenzy. Indeed, it's an absolutely normal and regular piece of youngster improvement.

The World Health Organization suggests selective breastfeeding for the initial a half year of life, and that breastfeeding proceeds (related to solids) for up to (and then some whenever wanted) a kid's subsequent birthday.

There are a lot of advantages to breastfeeding past earliest stages that aren't broadly advertised and consequently known.

Tragically, this is on the grounds that nobody stands to benefit from breastfeeding, though they do from baby recipe.

Consequently, breastfeeding is seldom advanced.

Perhaps the most troublesome thing about breastfeeding a little child, beside the mid-feed gymnastics that long term olds are very inclined toward, is the responses you might experience from companions, family and outsiders. Breastfeeding past early stages is definitely not a set up 'standard' in Western culture. It might not have been something that you even deliberately moved toward doing; numerous ladies just get up one morning with the acknowledgment that they are breastfeeding a little child. You're simply taking cues from your child, paying attention to your child and meeting his essential requirements.

Your child is as yet your child regardless assuming that they are 9, 10, 11 or a year old. There's not a tremendous differentiation to make when they get up one daytime resembling a child to an all out baby, and don't need or need the bosom any more.

Like all the other things nurturing, breastfeeding is an excursion. What's more that can be hard to disclose to loved ones when they question your decisions. One of the inquiries you are probably going to be posed to a great deal is 'The reason are you actually breastfeeding?', generally asked with an edge of judgment, started by a response to it not being an agreeable 'standard', rather than from a position of veritable interest.

She added: 'Riley and Mylo get on individuals' viewpoints. My oldest wouldn't request it when we're out on the grounds that he realizes others will see however he will in secret yet my most youthful is sure.

'Before Mylo went into preschool he was requesting mummy milk in the jungle gym in the first part of the day.

'He took me to the seat and I needed to dive profound into myself. I needed to let him know we weren't doing it there since individuals could see yet I would have rather not pass my tensions onto him.'

Sheryl not set in stone to breastfeed Mylo on the grounds that she battled to nurture Riley following a troublesome birth.

আমার আব্বা ছিলেন ভিষণ খুঁতখুঁতে স্বভাবের মানুষ।সবকিছুতেই তিনি খুঁত খুঁজে বের করতেন। রান্নায় একটু লবন কম হলেই উনি আম্মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। তরকারিতে রসুনের ঘ্রাণ না পেলে আব্বা ভাতের প্লেট ঠেলে ফেলে দিতেন। ভাত যেদিন একটু বেশি সিদ্ধ বা শক্ত হতো,ওইদিন আম্মার গালে পরতো অগণিত থাপ্পড়।
আমার আম্মা ছিলেন প্রচন্ড ধৈর্যশীল নারী। সারাদিন বাড়ির এটা ওটা কাজ করতেই থাকতেন। মাঝে মাঝে তিনি ধান ক্ষেতে গিয়ে ধান কাঁটতেন,এরপর তা থেকে চাল বের করতেন। কখনো কখনো আব্বার বদলে আম্মা দোকানে বসতেন। আব্বার এই খুঁতখুঁতে স্বভাবে আম্মা নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন। আমার পঁচিশ বছরের এই জীবনে আমি কখনো আম্মাকে আব্বার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলতে দেখিনি। এত এত মা'র খাওয়ার পরক্ষনেই হাসতেন। আব্বার জন্য এটা ওটা করে আব্বাকে খুশি করতেন।
আমার মনে আছে আমার তখন এগারো বছর বয়স। হুট করেই সেদিন বৃষ্টি নেমে এসেছিল গ্রামে। বৃষ্টির তাণ্ডব হঠাৎ করেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেউই বুঝতে পারেনি এই কড়া রোদ কেটে গিয়ে অঝরে বৃষ্টির ফোঁটা ঝড়বে গ্রামজুড়ে। আম্মাও সেদিন ঘুমিয়েছিলেন দুপুরে।বাড়ির উঠোনে আম্মা চুলো ধরানোর লাকড়ি শুকোতে দিয়েছিলেন। সেদিনের বৃষ্টি আমার আম্মার কাছে ছিল অশ্রুধারা। বৃষ্টির বেগে ভিজে গিয়েছিল লাকড়ি গুলো।তাড়াতাড়ি করে ঘরে আনার চেষ্টা করলেও বেশ অনেকটাই ভিজে গিয়েছিল। ওইদিন আম্মা ভিষণ ভয়ে ভয়ে ছিলেন। চোখে মুখে ছিল অবাধ চিন্তা। পাখা দিয়ে বারবার শুকোতে চাইছিল লাকড়িগুলো। খুব করে চাইছিল আব্বা যেন এ সম্পর্কে না জানে।
সেদিন আব্বা দোকান থেকে বাড়ি ফিরলেন রাতে। এসেই শুনলেন খড়ি/লাকড়ি ভিজে গেছে ।আর আম্মা তখন ঘুমিয়েছিলেন,তখনই শুরু করলেন গালিগালাজ।নানুকে নিয়ে যা তা বলে গালি দেয়ার পাশাপাশি একটা মোটা শক্ত গাছের ডাল দিয়েই আম্মাকে আঘাত করলেন। আম্মা কাঁদলেন,চিৎকার করলেন তবুও আব্বার মায়া হলো না। আমি ঘরের দরজা ধরে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম শুধু। আব্বাকে আমিও ভিষণ ভয় পেতাম।ছোটবেলা থেকে আব্বার আম্মার প্রতি অমানবিক অত্যাচার দেখতে দেখতে আমার মনে একটা কথাই বেজে উঠতো যে, নারীকে সবসবময় পায়ের নিচেই পিষে রাখতে হয়। পুরুষদের হতে হয় হিংস্র। স্ত্রীকে সবসময় ধমকের উপরে রাখলেই স্ত্রী'রা এমন বাধ্যগত হয়।সিংহের মতো বুক ফুলিয়ে রাখতে হয় পুরুষদের।
বর্তমানে আমার বয়স পঁচিশ। একটা বড় প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি করি।গ্রাম থেকে এখন আমরা শহরে এসেছি। আব্বার বয়স বেড়েছে। আগের মতো আর হম্বিতম্বি নেই। কিন্তু আম্মা সেই আগের মতোই কর্মঠ মানুষ হিসেবেই রয়েছে। সেই আগের মতোই আব্বার বাধ্যগত। ভাড়া বাড়ি ছেড়ে এখন নিজের তৈরী ছোট্ট বাড়িটাতে উঠেছি।
বেশ কিছুদিন ধরে আম্মা বিয়ের কথা বলছেন। আমারও মনে হলো সময় চলে যাচ্ছে। তাই আব্বার উপরে ছেড়ে দিলাম সবকিছু। আব্বা খুঁজে খুঁজে সুন্দরী,শিক্ষিতা মেয়ে নিয়ে আসলেন আমার স্ত্রী রুপে। আমার স্ত্রীর নাম নবনীতা। ভালোবেসে আমরা সবাই নবনী বলে ডাকি।নবনী প্রথম প্রথম বেশ লাজুক,ভদ্র আর বাধ্য মেয়ের মতো আচরন করতো। কিন্তু কয়েকদিন ধরে তার আচরনে আমি অবাক হচ্ছি।
বিয়ের কয়েকদিন আম্মা নবনীকে রান্নাঘরে যেতে দেন নি।সেই কয়েকদিন বেশ ভালোই চলছিল আমাদের দাম্পত্যজীবন। কিন্তু নবনীর রান্না খাওয়ার পর আমার মেজাজ গেল বিগড়ে। আমার শ্বশুর আব্বা বলেছিলেন নবনী খুবই ঘরোয়া মেয়ে,রান্নাবান্নায় আর সব কাজকর্মে পটু।কিন্তু তা ছিল সবই মিথ্যে। নবনী গ্যাসের চুলো টাও ঠিকমতো ধরাতে পারে না। ভাত কখনো নরম আবার কখনো চিবিয়েই খাওয়া যায় না।
একদিন নবনীকে বললাম খিচুরি রান্না করতে। নবনী বেশ দায়িত্ব নিয়ে রান্না করলো। কিন্তু মুরগীর মাংস দিয়ে রান্না করা খিচুড়িতে সাধ নেই একটুও। মরিচের ঝাঁঝ নেই বললেই চলে। এইবার ভিষণ রেগে গেলাম আমি।আব্বার আচরন মনে পড়ে গেল। তাকেই নকল করতে চাইলাম।তেজ দেখিয়ে ভাত ফেলে দিলাম আমি। আমার চিৎকারে কেঁপে উঠলো নবনী। আম্মা আর আব্বা ঘর থেকে বেরিয়ে আসলেন। নবনীর উদ্দেশ্যে বললাম,
" এইটা কোন রান্না হইলো? কি রানছোস এডি? ঝাল বা*ল কিছু নাই। তোর মা তোরে রান্না শিখায় নাই? এক্ষুনি বাইর হইয়া যা।
নবনী আম্মার মতো শান্ত রইলো না। সে-ও তেজ দেখিয়ে বললো,
" বাবার বাড়ি আমি সবসময় আদরে থেকেছি তন্ময়।কোনদিনই রান্না করিনি। আজ আমি কষ্ট করে রান্না করেছি। তোমার সাহস কি করে হলো খাবার ফেলে দেওয়ার?
" তোর সাহস তো কম না মা'গি। মুখে তর্ক করস। খামু না তোর ভাত।
" খাবে না মানে? আমি তোমার স্ত্রী না? আমি খুব যত্ন নিয়ে রেঁধেছি। আস্তে আস্তেই তো মানুষ শিখে। একদিনে তো সবকিছুতে পটু হয়ে যায় না কেউ।
" আবার কথা কস তুই। বাইর হ বাড়ি থিকা।
" এইটা আমার ও বাড়ি। আমি বের হবো কেন?এই পরিবার তো আমার-ও।
" তোর তর্ক বাইর করতাছি দাঁড়া"।
বলেই আমি এগিয়ে গেলাম নবনীর কাছে। চুলের মুটি ধরার আগেই আম্মা আমার হাত ধরে আটকে দিলেন।আজকে আম্মার মুখ গম্ভীর। আম্মার চোখে এই প্রথম ভিষণ তেজ দেখতে পেলাম। রাগে চোখ দুটো জ্বলে উঠতে দেখলাম। অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম,
" আম্মা দেখছেন ওর কাম? কি রানছে?এইগুলা আমি খামু? আব্বাও তো খাইতে পারবো না। খান** রে আজকেই বাইর কইরা দিমু বাড়ি থিকা"।
কথা শুনে হুট করেই আম্মা ভিষণ রেগে গেলেন। সশব্দে চড় বসিয়ে দিলেন আমার গালে। গালে হাত দিয়ে আবার অবাক হয়ে আম্মার দিকে তাকাতেই তিনি বললেন,
" নিজেকে কি ভাবো তন্ময়? বউয়ের সাথে কেমন আচরন করতে হয় জানো না? এমন ভাবে গালিগালাজ করছো?ছিঃ"।
হতবাক চোখে বললাম,
" আব্বাও তো আপনার সাথে এমন ব্যবহারই করছে।কই আপনি তো কোনদিন কিছু বলেন নাই। আজ কেন বলতেছেন"?
আম্মা এবার বলতে শুরু করলো,
- আমি ছিলাম গরীব ঘরের মেয়ে। তোমার আব্বা জীবনেও আমার দিকে মায়ার দৃষ্টিতে তাকায় নাই।কোনদিন জিজ্ঞেস করে নাই আমার কি চাই। দিনের পর দিন গালিগালাজ করেছে আমায়,মেরে মেরে গায়ে কালচে দাগ বানিয়ে ফেলেছে। তবুও আমি কিছু বলি নাই।কারন তিনি আমার স্বামী। তিনি অন্য কোন মায়ের সন্তান। উনার মা উনারে শিক্ষা দিতে পারে নাই। উনার মা উনারে মেয়েদের সম্মান দিতে শেখায় নাই। কিন্তু আমি?আমি কি তোমায় বউকে মারার শিক্ষা দিয়েছি? একটা মেয়ে তার মা-বাবার ভালোবাসা বিসর্জন দিয়া স্বামীর বাড়ি আসে নতুন একটা পরিবার গড়তে। তোমার আব্বার কারনে আমি অপমানিত হয়েছি সবসময়।এতগুলো বছর তার সেবা করে গিয়েছি,কোনদিন কিচ্ছু চাই নাই। তবুও তার মায়া হয় নাই আমার উপর।কোনদিন ভরসা দেয়নি আমাকে। সবসময় হিংস্র বাঘের মতো আচরন করেছে। কিন্তু আমি আমার ছেলেকে এমন বানাতে চাই না। আমি চাই না আমার ছেলের জন্য অন্য বাড়ির মেয়ের জীবন নষ্ট হোক। আমার গর্ভের সন্তানের কারনে কোন মেয়ে আমায় অভিশাপ দিক তা আমি চাই না।
শোন বাবা,নারীরা মায়ের জাত। তুমি আমাকে যেভাবে সম্মান দিতা তেমনি বউকেও সম্মান দিবা। এই বাড়ি তোমার একার না। এই বাড়ি আর এই পরিবার নবনীর-ও। নারীকে পায়ের নিচে পিষে কারা জানো?কাপুরুষরা! যারা ভালোবাসা মানেই বোঝে না।নবনী তোমার ভবিষ্যত সন্তানের মা। নবনীর মাধ্যমেই তোমার পরিবার গড়ে উঠবে। এই মেয়েটারে আগলে রেখো বাপ।আমার মতো কপাল যেন ওর না হয়। আমার মতো ভয়ে ভয়ে যেন ওকে বাঁচতে না হয়। আমি আজীবন যে কষ্ট পেয়েছি তা আমি নবনীকে পেতে দিবো না। তোমার বউ আমার মেয়ের মতো। আমার জীবনের মতো ওর জীবন আমি হতে দিবো না। আমার মেয়ের গায়ে হাত তুললে আমি তোমায় ছেড়ে দিবো না বলে দিলাম।
আম্মার কথা শুনে অবাক হয়ে শুধু চেয়ে রইলাম। এ কোন আম্মাকে দেখছি আমি? সবসময় মুখ গুঁজে সবটা সহ্য করা আম্মা কেমন প্রতিবাদী হয়ে গিয়েছেন। আব্বার চেয়ে আম্মা এখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে। সবসময় গাম্ভীর্য বজায় রাখে। আম্মার এতগুলো কথা শুনে আব্বা শেষ বয়সে এসে নিজের ভুল বুঝতে পারলেন।ভিতরে ভিতরে অনুশোচনায় ভুগলেন।
আমি কোন দিন উপন্যাস পড়িনি। নবনীর কথায় আমি কয়েকটা ইসলামিক উপন্যাস পড়লাম। বইগুলো পড়ার মাধ্যমে স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব,স্ত্রীর প্রতি আচরন,নবী কিভাবে তার স্ত্রী কে খুশি করতেন,নারীর প্রতি কেমন মনোভাব রাখা উচিত,সব জানলাম। নিজের কৃতকর্মে লজ্জিত হলাম। নারীকে সম্মান করতে যারা পারে না,তাদের প্রতি ঘৃ'ণা এলো। আম্মা বুঝেছেন আব্বা অনুতপ্ত। কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি।নিজের মতো চলছে আম্মা। আব্বার প্রতি অজানা অভিমান লুকিয়ে রেখেছেন সবসময়। নবনী আম্মার খুব ভালো বন্ধু। একে অপরের সাথে মিশে থাকে সবসময়।মাঝে মাঝে ভয় হয়। আম্মা না জানি কত দুঃখ নিয়ে চলে যাবেন একদিন। আব্বা কতইনা পাপ
করেছেন। আব্বা কি কোনদিন ক্ষমা পাবেন?
- সমাপ্ত।
অনুগল্প:পরিবর্তন
লেখনীতে:বৃষ্টি শেখ
(বার্তা) -- পিতা মাতার উদ্দেশ্য বলতে চাই:- সন্তানের সামনে নিজেদের মধ্যে এমন কোন আচরন বা কাজ করবেন না যা সন্তানের জীবনে বাজে ভাবে প্রভাব ফেলে।মনে রাখবেন সন্তানরা প্রথম শিক্ষা পায় তার পরিবারের মাধ্যমে।এসময় তারা যাই দেখবে তা-ই শিখবে।

She added that breastfeeding assisted her with conquering the injury of conceiving an offspring and reinforced her association with her children.

Sheryl couple took care of the pair until they were too huge to even consider being taken care of simultaneously.

Sheryl said: 'Breastfeeding assisted me with making a big difference for that association and I had it in my mind that I needed to couple breastfeed. It felt supernatural and enabling to support two infants simultaneously.

'I had an awful birth and due to that experience I felt like I a disappointment. I felt like I hadn't done it right so I really wanted the breastfeeding relationship to succeed.

'It wasn't until I begun breastfeeding Riley that I realized what was going on with it. It was much harder than I suspected.

'It wasn't genuinely terrible yet sincerely it was hard. It may have been simpler assuming I'd find out about it.

'It's difficult to give all of yourself to this little individual and not offer yourself a reprieve.

'To get to where I am presently couldn't have occurred in the event that I hadn't proceeded to have my recuperating birth with Mylo. Everything changed after that.

আজ দুপুরে একজন কাস্টমারের ব্যবহার প্রমাণ করে দেয় ভদ্রতার উপর কোন উপহার হয় না
আজ দুপুরে এক ভদ্রলোক তার বাচ্চার (আজ তার ১৫ তম জন্মদিন) সাথে আসে তার ছেলের বার্থডে সেলিব্রেট করতে…তারা নিজেদের মতো হাসিখুশিভাবে সেলিব্রেট করার সময় আমাদেরও ডাকে কেক কাটার সময় এবং কেক নিতে বলে
তবে ভালো লাগার বিষয়টি ছিল বার্থডে বয় এর কথাগুলো…সে রেস্টুরেন্টের সব স্টাফদের বলে “সবাইকে ছাড়া সেলিব্রেট করতে তার ভালো লাগবে না…ছোটভাইয়ের জন্মদিন ভেবে আপনারাও আসেন”
কথাটি বলে সে আমাকেও এক পিস কেক দিয়ে যায়…তার কথাগুলো যথেষ্ট ছিল আমার দিন ভালো করার জন্য…ধন্যবাদ সেসকল মানুষদের যারা সবাইকে আপনজন ভেবে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে
বিষয়টি আসলেই ভালো লাগার মতো যে এই বয়সেও তার এরকম মনমানসিকতা আছে…ধন্যবাদ তার বাবা মাকে এরকম শিক্ষায় তাকে বড় করার জন্য
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url