গল্পটা আমাদের - খাঁচার পাখি (ফিহা) - পর্ব - ০২ | The Story Is Ours - Caged Bird (Fiha) - Episode - 02

#গল্পটা আমাদের
#খাঁচার পাখি (ফিহা)
#পর্ব
 
আমার প্রেমিকের সন্তানকে আমি আমার স্বামীর পরিচয়ে বড় করছি বিয়ের পরও আমি আমার প্রেমিকের সাথে সমর্পক রেখে গেছি বছরের পর বছর পরক্রিয়া করেগেছি। আমি দুশ্চরিতা বিয়ের আগেই আমার ছেলে ভুবন আমার পেটে এসেছে নিজেকে আর নিজের পরিবারকে সমাজের হাত থেকে বাচাতে আমি আমার স্বামীকে ঠকিয়ে বিয়ে করেছি। গতকাল রাতে আমার স্বামীর বীর খুব কৌশলে আমার মুখ থেকে সত্যি কথাটা বের করে ফেলেছে আজ বিয়ের তিন বছর পর। 
 
আমার ছেলে ভুবনের বয়স দুবছরের বেশি কাল সারারাত দু চোখের পাতা এক করতে পারি নি চিন্তায় এই ভেবে যে এখন আমার সাথে কি হতে চলেছে? সকালে আমাকে আমার ছেলেকে নিয়ে আমার স্বামী বীর আমাদের বাসায় এসেছে আমার মা বাবা বড় ভাই ভাবীর সামনে এ বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য বসেছে সে। আমি নিজের ও নিজের পরিবারের চরম থেকে চরম অপমান আশা করছি বীরের কাছে। কাজের মেয়েটা আমার ছেলে ভুবন কে নিয়ে চলে গেছে ঘরে মা আর ভাবী আমাদের সামনে কিছু নাস্তা দিয়ে বসেছে লজ্জিত ভীত হয়ে মাথা নিচু করে বসে আছি আমি। 
 
আমার অবস্থা দেখে বিয়ের আগের ঘটনার কথা জেনে গেছে আমার স্বামী এটা আমার বাড়ির সবাই অনুমান করেছে হয় তো, তবে আমার পরক্রিয়ার কথা এখনো জানে না তারা। সকলেই কথা বলতে ইতস্তত বোধ করছে কিন্তু বীরের কথায় রিতীমতো সবাই আবাক হয়ে গেছে আমিও, ওর দিকে তাকিয়ে আছি হা করে।
বীর খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলছে,
 
বাবা, আপনার নাতি ভুবনের আসল বাবা যে আমি নই তা তো আপনারা জানেনই বিয়ের পর পরই আমি এটা বুঝতে পেরেছিলাম তার সাথে আপনাদের সবার অসহায় অবস্থাটাও বুঝে ছিলাম আমি।
 
আপনি আপনার মেয়েকে জিজ্ঞাস করে দেখুন ওকি কখনও এটা বুঝতে পেরেছে যে আমি ভুবনের আপন বাবার মতো না বা আমি আমার স্ত্রীর প্রতি কোন অবহেলা অযত্ন করেছি? কিন্তু ভুবনের আসল বাবার পুরো অধিকার আছে নিজের ছেলের আর নিজের সন্তানের মায়ের উপর। আর সুবা ও নিজের সন্তানর বাবাকে ভুলতে পারে নি, এখন আমাকে ডিভোর্স দিয়ে ওরা আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে চাইছে আপনি দয়া করে ওদের ভুল বুঝবেন না ওদের অনুমতি দিন। (খাঁচার পাখি ফিহা)
 
বাবা, বিয়ের সময় যে আমার লোভী মাবাবা আপনার থেকে নগদ যে ৫ লাখ টাকা নিয়েছে তা সহ দেনমোহরের ৫ লাখ, মোট ১০ লাখ টাকা আমি আমার নামের আমার বাবার জমির অংশ বিক্রি করে টাকাটা আপনার মেয়ের হাতে দেবার আগে ডিভোর্স পেপারে সাইন করাবো তার আগে না আর যদি প্রয়োজন হয় মাসে মাসে ছেলের জন্য খোরপোশ দিতেও আমি রাজি আছি।নাবিল নামের ছেলেটার সাথে যে সুবা ভালো থাকবে আমি আপনাকে আসোস্ত করছি।
আর এসব কথা আর কেউ জানবে না আমার পরিবারও না আপনাদের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমার। আমার পরিবারকে আমি যা বলার বুঝিয়ে বলবো তাদের জন্য আপনারা চিন্তা করবেন না তবে যতদিন না ডিভোর্স হচ্ছে ততদিন সুবা আর ভুবনকে নিজের কাছেই রাখবো আমি।
সুবার যদি কখনো মনে হয় ফিরে আসতে তাহলে ওর জন্য আমার বাড়ির দরজা সবসময় খোলা। 
 
আমি এখন একটু বাহিরে থেকে আসছি মা, দুপুর আর রাতের খাবার না খেয়ে কিন্তু আমরা যাবো না আপনি রান্না বাড়ার আয়োজন করে রাইখেন কিন্তু।
আমি শুধু মনে মনে ভাবছি একটা মানুষ এতো ভালো কি করে হয় আর আমি তাকেই ঠকিয়েছি।আল্লাহ এ আমি কি করলাম।
কথা গুলো বলেই বীর চলে গেলো বাইরে ও বাহিরে যেতেই আমার গালে সজোড়ে একটা চড় পড়লো তাল না সামলাতে পেড়ে আমি মাটিতে পড়ে গেলাম।
 
চলবে....
 

(আপনাদের মতে বীর কি করতে পারতো? এবারের গল্পটা নিয়ে আমি কিছুটা আশাবাদি ছিলাম কিন্তু আশানুরূপ রিস্পন্স পাই নাই তবে একজন পাঠক ও যদি থাকে পরের পর্ব আসবে ইনশাআল্লাহ 😍)
Next Post
No Comment
Add Comment
comment url