#গল্পঃ বাল মানে চুল। #লেখাঃআজিজুল হক শাওন | আমাার_গল্পে_আমি_খলনায়ক | Part#16 | আমার বাবা #সত্য ঘটনা | Warning live breastfeeding! Our family snow day adventure!



আমার বউ এতই বেশী হিন্দি সিরিয়াল দেখে যে, বাসর রাতেও স্টার প্লাস লাগিয়ে দিয়েছে।
হিন্দি সিরিয়ালে আমার প্রবলেম নেই, কিন্তু প্রবলেম হলো হিন্দি বলাতে।
সে সব কিছু বাংলাতে বললেও, শুধু একটা শব্দ হিন্দি বলে। সেটা হলো চুল'কে বাল বলে।
ওইদিন আম্মাজান বউকে বলল," মা! চিরুনি'টা আনোতো!"
বউ বলল," বালের জন্য নি আনবো,মা!"
মা তো কথাটা শুনে মৃদু স্ট্রোক করলেন। শেষে কোনোরকম বুঝিয়ে দমানো গেলো।
ওইদিন, আমার বিয়ের পর প্রথম,
আমার বউকে দেখতে অফিসের বস্ আসলো। এসে সোফায় বসে বলল , "দেখি শাওন! তোমার বউ'কে আসতে বলোতো। তোমার বউটা কেমন? আমার আবার কাজ আছে।"
বউ, নাস্তার ট্রে এনে সালাম দিয়ে বলল," স্যার! কেমন আছেন? স্যার, আপনি তো অনেক স্মার্ট।
স্যার খুশি হয়ে বললেন," আলহামদুলিল্লাহ এবং ধন্যবাদ।
তরী বলল: আপনার বাল থাকলে, আরো সুন্দর লাগত। লম্বা বাল, স্যার'দের কে মানায় ভালো। আমি তো শাওন'কে বালের জন্যই বিবাহ করিছি। না হলে কি করতাম?"
স্যার,বুকে হাত দিয়ে রেখেছেন। মনে হয় হার্ট এটাক
করেছেন। তিনি হার্ট এটাক করে, হাসপাতালে স্ব-ইচ্ছায় চলে গেলেন। কোনো কষ্ট করতে হলো না।
এই মেয়ের চুলকে হিন্দি বলা, আমাকে বিষিয়ে তুলেছে। মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করতে মন চায়, কিন্তু মহাপাপের জন্য পারিনা।
ওইদিন গ্রাম থেকে ফুঁপি এসেছেন বউ দেখতে।
বউ এর চেহারা দেখে বললেন, মাশাল্লাহ! বউয়ের চেহারা তো জব্বর। চুলটা লম্বা করলে আরো সুন্দর লাগত।
বউ বলে কিনা," আপনি তো বালের কথা বলতেছেন। বাল বড় রাখতে, আপনাদের ভাতিজাই দে না!"
ফুঁপি কথাটা শুনে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। শেষে গ্রামে গিয়ে জ্ঞান ফিরলো।
এই বালের শব্দের জন্য বাবার দুইবার হার্ট এটাক, মায়ের দুইবার স্টোক হয়ে গেছে অলরেডি। ডাক্তার বলেছে, আরেকবার হলে বাঁচানো যাবে না।
এভাবে হলে তো সংসার শসান হয়ে যাবে।
তাই চিন্তা করলাম "তরী" কে ডিভোর্স দিবো।
ডিভোর্স দিতে বউকে নিয়ে গেলাম আদালতে, জজ সাহেব "তরী" কে জিজ্ঞাসা করল: মা! ডিভোর্স কেন দিচ্ছে তোমার হাজবেন্ড? প্রবলেম কিসে?"
বউ বলে," আমার কোনো প্রবলেম নেই। প্রবলেম আমার বালে। বাল কে আমি বাল বলি, সেটাকি আমার দোষ। বাল বলা কি অপরাধ স্যার। আপনি কি বালের জজ, যে বালের রায় দিবেন?"
জজ সাহেব দেখছি অজ্ঞান হয়ে উপুড় হয়ে টেবিলের ওপাশ থেকে নীচে পড়ে গেছেন। মনে হয় বেঁচে নেই।
তারাতারি কেউ দেখার আগে কেটে পড়লাম।
সে ঘটনার পর, বউ'কে বাংলা মাস্টার রাখলাম, যাতে শব্দটা চেঞ্জ করে।
বাংলা মাস্টার পড়াচ্ছেন," বাল মানে চুল, চুল মানে বাল নয়!"
মুখে মুখে তরীও পড়ছে। "বাল মানে বাল, বাল মানে বাল নয়!"
আমি মনে হিন্দি সিরিয়াল'কে বাল বলে গাল দিতে থাকলাম।
আমি একটা চুলের শ্যাম্পু কোম্পানিতে চাকরী করি। ঘরে বউ এর বাল শব্দটা শুনতে শুনতে কখন যে আমার মাঝে, বালের ভাইরাস'টা ঢুকে গেছে আমি বুঝতে পারিনি।
ওইদিন আমাদের প্রোডাক্ট নিয়ে লাইভে মার্কেটিং করছিলাম। শ্যাম্পু'টা হাতে নিয়ে বললাম,"এই হলো বালের শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু দিলে,আপনার বাল হবে উজ্জ্বল ও রেশমি। আপনার বালকে চিল্কি করতে আজই সংগ্রহ করুন, এই শ্যাম্পু! শ্যাম্পু মাখুন বাল লম্বা করুন!"
এই বালের চক্করে পুরা কোম্পানিই শেষ হয়ে গেল। বস্ও উপরে চলে গেলেন।
শেষে, অনেক কষ্টে দুয়া-কলমার মাধ্যমে আমার বাল শব্দ থেকে চুল শব্দটা ফেরত পেলাম।।
যতো চিন্তা রয়ে গেল তরীকে নিয়ে।।
--------------------------------------------------------------------
এদিকে, একবছর পরে, মাস্টার কান্না করে বললেন," ইয়েস! আমি সাকসেস! আমি পেরেছি। আমি বাল চেঞ্জ করতে পেরেছি।
---মানে?(আমি বললাম)
---না, মানে... আপনার বউয়ের বাল চেঞ্জ করতে পেরেছি।
---কি?
--না! বাল শব্দটা চেঞ্জ হয়েছে।
আমি আনন্দে মাস্টারকে বুকে নিয়ে নিলাম। দুইহাজার টাকা আনন্দে বালের জন্য বাড়িয়ে দিলাম।
না, এখন আর বাল নিয়ে প্রবলেম হচ্ছে না। তরী, একদম সুস্থ।
ঘরে,সিরিয়ালও নিষিদ্ধ করে দিয়েছি।
অফিসে বসে আছি। হঠাৎ হাসপাতাল থেকে চেনা কণ্ঠে ফোন,বলল: তোমার মা হাসপাতালে আছে। আইসিউতে। শেষ দেখা দেখতে চাইলে হাসপাতালে আসো।
আমি তাড়াতাড়ি আসলাম হাসপাতালে।
লুকিং গ্লাস দিয়ে আইসিউর রুমের ভিতর তাকিয়ে দেখি, মা জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।
হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে ঢুকতেই তরী আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল।
আমি বললাম: কী হয়েছে? আমার মা আইসিউতে কেন?"
তরী,আমাকে বলল: মা বলেছিল, চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে দিতে। আমি চিরুনি এনে মা'র চুল আঁচড়াতে লাগলাম। বললাম: মা, আপনার চুল উঠে যাচ্ছে। মা, এই প্রথম চুল শব্দ বাংলায় শুনে কেঁদে দিলেন। বললেন, মা! তুমি দেখছি চুল বাংলায় বলছো! এত খুশি রাখি কোথায়? আমার কপালে চুমু কাটলেন।"
তরী কান্না করে বলতে থাকে," আমি তারপর মাকে বললাম, মা! হোগা, হোগা,সব হোগা! একশ বার হোগা। আমার হোগা, মা!"
আর মা তারপর আইসিউতে।।।

#গল্পঃবাল_মানে_চুল।
#লেখাঃআজিজুল_হক_শাওন।।।


 

Go along with us on our family experience in the mountains where the child will see snow for the absolute first time! From climbing trees to accelerate battles, breastfeeding and exhortation from The Famous Mommy, this video has everything! If it's not too much trouble, comprehend this instructive narrative portrays the genuine of a breastfeeding mother.

#What is Breastfeeding?

Breastfeeding is the point at which you feed your child bosom milk, typically straightforwardly from your bosom. It's additionally called nursing. Settling on the choice to breastfeed is an individual matter. It's likewise one that is probably going to draw feelings from loved ones.

Numerous clinical specialists, including the American Academy of Pediatrics (AAP) and the American College of Obstetricians and Gynecologists, firmly suggest breastfeeding solely (no equation, squeeze, or water) for quite some time. After the presentation of different food sources, it prescribes proceeding to breastfeed through the child's first year of life.

How regularly you ought to breastfeed your child relies upon whether your child lean towards little, successive suppers or longer feedings. This will change as your child develops. Babies frequently need to take care of each 2-3 hours. By 2 months, taking care of each 3-4 hours is normal, and by a half year, most infants feed each 4-5 hours.

You and your child are special, and the choice to breastfeed is dependent upon you.

 অফিস থেকে বাড়ি ফিরে বাবা আর বড় চাচীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখলাম।।

আমি দাঁড়িয়ে থ হয়ে আছি।।
তারা ও আমাকে দেখে আতংকিত হয়ে গিয়েছে।
বাবা রুম থেকে বের হয়ে গেলো।।
চাচী কোনো রকমে কাপড় ঠিক করতে করতে বললও মা যা দেখেছিস ভুল বুঝিস না। কাউকে বলিস না।।
এতে আমার সংসার টা ভাঙবেই। তোর বাবা মানুষ টা ভালো না সুযোগ পেলেই জোর করেই আমার গায়ের সাথে ঠেসা*ঠেসি করে।।
তিনি কান্না করতে করতে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।
খেয়াল করলাম চোখের পানি ও পড়ছে না।
আমি বাড়িতে ঢুকেই মেইন দরজা খোলা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করতেই আমার বাবা মায়ের রুমে এমন ফালতু কাজকর্ম দেখলাম।।
আমি আমার রুমে এসে একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর ভাত খেতে বসেছি।।
বাবা আসার পর আমাকে বললেন যা দেখেছো এটা কাউকে বলার দরকার নাই।
তুমি আমার সন্তান যথেষ্ট বড় হয়েছো তোমাকে কিছু বুঝাতে চাই না।
আর কেউ কিছু জানলে বিষয় টা তোমার জন্য ভালো হবো না।
আমি চুপচাপ খাচ্ছি। আর ভাবছি বিন্দু মাএ লজ্জা নেই।।
আর যতটুকু দেখলাম মনে হলো না কেউ কাউকে জোর করে কিছু করছে না।
আমার মা মারা গেছে আজ ৩ বছরের মত।। আমার মা গাড়ি এক্সিডেন্ট এ মারা যায়।।
মায়ের সাথে কখনও বড় চাচীর সম্পর্ক ভালো ছিলো না। কারণ সংসারে মাতব্বরি করতো বড় চাচী। যেটা আমার মায়ের একদম পছন্দ ছিলো না।।
আমি বড় হওয়ার পর থেকেই দেখতাম প্রায়ই বাবা মায়ের সাথে ঝগড়া হতো চাচীকে নিয়ে।।
আর বাবা চাচীর কাছে টাকা জমা রাখতেন।।
আমার বয়স যখন ১৫ বছর বয়স তখন মা সংসার আলাদা করে ফেলেন।।
বড় চাচী আর আমরা এক সাথে খেতাম আমার দাদু সহ।
দাদু খুব অসুস্থ ছিলেন।। ৫ বছর আলাদা খাওয়ার পর মা মারা গেলে আবার এক সাথে হয়ে যায়।
তখন বাবা ঠিক মত বাজার করতেন না।
দেখা যেতো আমাদের ঘরে ১ টা মুরগি আনলে বড় চাচীদের জন্য ও আনতেন।
অথচ তারা কিছু আনলে আমাদের দিতেন না।।
ঘরের কোন ডিসিশন নেওয়ার সময় বাবা বড় চাচীর সাথেই আলাপ করতেন।
আমার মা যেন দু চোখে বিষ ছিলো। কোন কিছুই শেয়ার করতেন না। ।
আমার বাবা স্কুল শিক্ষক। কিন্তুু তার নিজেরই শিক্ষার অনেক অভাব।
বাবার মুখে ভাষা ভীষণ খারাপ ছিলো।। আমি বড় হওয়ার পর ও উনি আমার গায়ে হাত তুলতে চাইতেন।
মা মারা যাওয়ার পর আমি আরো একা হয়ে যায়।।
আর এ কারণে চাকুরীতে ঢুকি।
হাসপাতালের রিসিপশনে জব করতাম।। পরিবার থেকে ও কিছু বলতো না।
বাবা অনুমতি দিয়েছিলেন।।
প্রতিদিন অফিস যাওয়ার সময় ভাত খেয়ে যায় আমি।।
আমার বাবা সকালে উঠেই বড় মার সাথে রান্না বান্নায় সাহায্য করতেন।
গল্প করতেন।।
অথচ আমার মা থাকা কালীন আমার বাপ ভাত খেয়ে প্লেট টাও বেসিন এ নিয়ে যাইতো না।
আমার বড় চাচা ছিলো একটু সহজসরল সাদাসিধা মানুষ।
সবাই ডিলা বলতো।। উনি এতকিছু বুঝতেন না।।
বউ যা বলতো তা শুনতো।। উনি ২ টা খাবার পেলেই খুশি থাকতেন।
তিনি খেত খামারী করতে। সেগুলো আবার আমার বাবা বিক্রি করতো। তিনি সহজ সরল ছিলো এজন্য সবাই ঠকাতো।।
আমার বেতনের টাকা আমি খরচ করতাম কাউকে দিতাম না।
আর রিসিপশনের চাকরির বেতন কম। ৫ হাজার টাকা ছিলো।
সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা।।
আমার ভালো লাগতো আমি করতাম। ইন্টারে ফেল করার পর পড়ালেখা আর করিনি।
পড়া লেখার ইচ্ছে আমার কখনও ছিলো না। মা থাকতে যতটুকু পড়েছি।।
ইদানীং বাবা - চাচীর রং তামাশা দিন দিন বেড়েই চলছিলো।
বাবার কোথাও সেভিংস নাই। যা কামাই সব সংসার এর পিছনে আর চাচীর পিছনে খরচ করে ফেলতো।
আমার চাচীর বয়স ৪০।।
৩ সন্তান এর জননী এত রঙ তামাশা কোথা থেকে আসে আল্লাহ জানেন।।
আমার মা মারা যাওয়ার পর আমার বাবার টাকায় উনার বড় মেয়েকে বিবাহ দেন।।
আর মেজ মেয়ে হোস্টেল এ থাকতো আর ছোট মেয়ে বেশিরভাগ সময় নানার বাড়ি থাকতো।।।
নিজের জামাই রেখে আমার বাবার সাথে বাজারে, ডাক্তার কাছে যেতো।।
আমার বাবার রুমে কোন রকম নক ছাড়া এমনিই ঢুকে যেতো।
বাবার সামনে উনার গায়ের কাপড় ও ঠিক রাখতো না।
একদিন বড় চাচীকে বলি আপনি আর বাবা বিয়ে করে নেন তাহলেই তো হয়।।
উনি কেঁদে কেটে এক অবস্থা করেন।। বলে আমার জামাই থাকতে তোর বাপের কাছে কেন বিয়ে বসবো।
পারলে তোর বাপরে আরেকটা বিয়ে করা।।
যাতা অবস্থা ঘরের।।
তখন আমি আমার বান্ধবী দের পরামর্শে ঘরে গেলে ওয়াজ ছেড়ে দিতাম।
দেবর মৃত্যু সমতুল্য এসব শোনাতাম।
তখন উনি কিছু বলতো না।
বলতো আওয়াজ কমিয়ে দিয়ে শুন।। মাথা ব্যাথা করছে।।
এরপর বাবাকে একদিন বলি বাবা আমার মা লাগবে।। আপনি একটা বিয়ে করেন।।
আমার চাচী একদম রাগ হয়ে বলে তুই বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে নিজের বিয়ের চিন্তা না করে বাপের বিয়ের চিন্তা করতেছোস।
আমি বলি আপনি আমাদের মাঝে কথা বলবেন না।
আমার চাচী আমাকে বলে দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষতেছি।এত সেবা যত্ন করি আর আমাকে এসব বলস।
আমি কান্না করে দিয়ে বাপকে বলি বাপ আমার মা লাগবে আপনাকে বিয়ে করাবো।
বাবা উওর দিলো তাহলে বড় চাচীকে মা ডাক এখন বিয়ে করার বয়স আছে আমার।
বাবা আপনার এত বেশি বয়স হয়নি এখনও।। ৫০ বছর এত বেশি না।
আমার মা লাগবে আপনি মা এনে দিবেন কথা শেষ।।
এরপর থেকে বড় চাচীর কীর্তি আরো ফুটে উঠে এবং আমি আরো সিউর হয়ে গেলাম যে চাচীর সাথে বাবার অবৈধ সম্পর্ক আছে।।
প্রায় রাতেই বাবার ঘরে চাচীকে ঢুকতে দেখতাম।।
একদিন রাতে তো আমি বড় চাচাকে নিয়ে উনাদের হাতে নাতে ধরি।।
তখন চাচী ফালতু কান্না করে বলে উনি হার্টে রোগী আমি দেখতেছি রাতে কোনো সমস্যা হলো কিনা। বেঁচে আছে কিনা কিছু লাগবে কিনা।
এজন্য রাতে এসে দেখে যায়।। আমি ঘরের সবার খেয়াল রাখি বলেই।। আমি তো সবাইকে বুক দিয়ে আগলে রাখতে চাই।।
বাবা আমাকে ভীষণ বকা দিলো আর আমাকে পরেরদিন আমার নানার বাড়ি পাঠিয়ে দিলো।।
চলবে..

#আমার_বাবা
সত্য ঘটনা
Nusrat Haq



#আমাার_গল্পে_আমি_খলনায়ক
#part_16

"রায়হান এসে পড়েছে আগের আস্তানায়, এখন রাজিবের জন্য অপেক্ষা করছে। রাজিব মেয়েদের নিয়ে আসলেই, আগে তিশাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তারপর মনে মনে যে চিন্তা করে এসেছে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। আমার মেয়েকে কিডন্যাপ করার মজা আজকে হাড়ে হাড়ে টের পাবেন আপনি ম্যাডাম।কি বলেছিলেন আমি যদি মেয়ে দিতে না পারি তাহলে আমাকে পথে নামিয়ে সারবেন। আবার পুলিশের কাছে ও দিবেন, তাই না! 

এখন দেখবো কে কাকে পথে নামিয়ে ছাড়ে। আজকে একবার শুধু রাজিব এখানে মেয়ে গুলো কে নিয়ে আসুক। তারপর যা করার বাকিটা আমি করবো,, আপনি শুধু আপনার বরা ডুবির জন্য প্রস্তুথ হোন। এই ডেলিবারিটা কেন্সেল হলে,,আপনার যে কি পরিমান লস হবে, তা আমার থেকে কেও ভালো জানে না।ফরেনারের দের রোষানলে আপনাকে পড়তে হবেই, তখন কে আপনাকে মেয়ের ব্যবস্থা করে দিবে!আমি? তা আর হচ্ছে না। আমাকে দিয়ে এতোদিন নিজের লাভ করিয়ে,,এখন আমাকে বাঁশ দিচ্ছেন। একটা মেয়ের ব্যবস্থা করতে পারিনি বলে, আমার অসুস্থ মেয়েটাকে লোক দিয়ে কিডন্যাপ করিয়েছেন,আবার হাত-পা বেঁধে তাকে ফেলে রেখেছেন। তার শাস্তি তো আপনাকে পেতেই হবে!

আমিতো নিজের সহধর্মিণীকেই ছাড় দেই না,আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলে। আর আপনি আবার কোন ক্ষেতের মুলা।আমার একটাই আফসোস আপনাকে সরাসরি কখনো দেখিনি, যদি আপনার চেহারাটা দেখতাম। তাহলে আপনাকে বুঝিয়ে দিতাম রায়হান চৌধুরীর রক্তে হাত দেওয়ার ভয়াবহতা। এখন আপনার সরাসরি তো আর কোনো ক্ষতি করতে পারবো না,,তাই আপনার ফিনানশিয়ালি ক্ষতি করে দিলাম। যাকে বলে টিট ফর টেট। আমি আবার কাওকে ঋনি রাখি না, আমার ক্ষতি করতে চাইলে,সে আমার যে-ই হোক না কোনো তার ক্ষতি করতে আমি দুইবার ভাবি না। এতো বড়ো লস হলে নিশ্চয়ই আপনি চুপ করে থাকবেন না! আমার সামনে এইবারতো আপনাকে আসতেই হবে। আসতেই হবে,,, ম্যাডাম,,, আসতেই হবে,,,,,,, মনে মনে কথা গুলো বলে পৈশাচিক হাসি হাসছে রায়হান।

এরি মধ্যে রাজিব মেয়েদেরকে নিয়ে মালবাহী ট্রাক করে আগের আস্তানার সামনে চলে এসেছে। রাজিবের সাথে আরও কয়েকজন ছেলে আছে , রাস্তায় অবশ্য আসার সময় একবার পুলিশ চেকিং পরেছিলো।রাজিব পুলিশকে মিথ্যা বলে, কোনো ভাবে ওখান থেকে চলে এসেছে। এখানে আসার সাথে সাথেই রায়হান কে কল করতে শুরু করে। প্রথম বার কল না উঠালেও দ্বিতীয় বার কল দিতেই রায়হান সাথে সাথে কল ওঠায়।
__হ্যালো স্যার,,, আপনি কোথায়! আমরা তো পুরনো আস্তানায় চলে এসেছি মেয়েদের কে সাথে নিয়ে। এখানে তো বাহির থেকে গেইট লাগানো। আমারা ভিতরে ঢুকবো কি করে! এখানে বেশিক্ষন দাড়িয়ে থাকলে, আবার সমস্যা হতে পারে।
__ও্ ,,,,,,, তুৃমি চলে এসেছো! আচ্ছা একটু অপেক্ষা করো আমি গেইট খুলছি।বলেই রায়হান কলটি কেটে দেয়।

ওদের আগের আস্তানাটা একটা বন্ধ পুরনো ফ্যাক্টুররি,অনেক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এই ফ্যাক্টরির মালিকের কাছ থেকে এটা কিনে নিয়েছে। রায়হান সময় নষ্ট না করে গেইট খুলে দেয়। তারপর রাজিব মালবাহী ট্রাক নিয়ে একদম ফ্যাক্টুরির ভিতরে ঢুকে পড়ে।তারপর আবার ভিতর থেকে গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজিব গাড়ি থেকে নেমে রায়হানের সামনে আসে,,,,
__স্যার,, মেয়েগুলো কে নিয়ে এসেছে। এখন কি করবেন, ম্যাডাম জানতে পারলে কিন্তু আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে ।
__নিয়ে এসেছে!আচ্ছা এখন মেয়ে গুলোকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ছেলেগুলো কে গাড়ি নি আবার চলে যেতে বলো।

__গাড়ি নিয়ে চলে যাবে কেনো স্যার!তাহলে মেয়ে গুলো কে আবার কি করে নিয়ে যাবো।
__তোমাকে যা বলছি তুমি তা-ই করো! বেশি চিন্তা তোমাকে করতে হবে না।
__কিন্তু স্যার ম্যাডাম কে আমি কি জবাব দিবো!এমনিতেই ম্যাডাম কে না জানিয়ে এখানে এসেছি, এখন যদি ম্যাডাম জানতে পারে তাহলে তো প্রবলেম হয়ে যাবে।
__তুই এতো কথা বলছিস কেনো! তোর কি একটুও জানের মায়া নেই! না নিজের বউ বাচ্ছার জন্য মায়া নেই। আচ্ছা তুই যাস না,, আমার লোক গিয়ে তোর বউ বাচ্ছাদের মেরে দিক।কি বলিস তুই! আর এখানে আমি তোকে মেরে দিবো।

__আমি জানতাম স্যার আপনি এরকম একটা কিছু করতে পারেন তাই আমি ম্যাডাম কে জানাতে চাইছিলাম, কিন্তু ম্যাডামের মুবাইল বন্ধ থাকায় কল করতে পারি নাই। সমস্যা নেই স্যার আপনার ব্যবস্থা করতে আমি এই ছেলেগুলোকে সাথে নিয়ে এসেছি। এখন আপনি যদি আমার বউ বাচ্ছার কোনে ক্ষতি করতে চেষ্টা ও করেন তাহলে,, আমি আপনাকে এখানেই শেষ করে দিবো।
(কথা গুলো বলেই ছেলে গুলো কে গাড়ি থেকে নামতে ডাক দেয় রাজিব) এই কোথায় তোরা তাড়াতাড়ি এখানে এসে এই বুড়ো কে ধর।

রাজিব বলার সাথে সাথে ছেলেরা গাড়ি থেকে নেমে রায়হানের সামনে আসে। আর রায়হান রাজিবের কথা শুনার পর পৈশাচিক হাসি হাসতে হাসতে বলে,,,,
__অনেক বড়ো হয়ে গিয়েছো!তাই না।আমার মাধ্যমে এই লাইনে এসে আমাকেই পথ থেকে সরিয়ে দিতে চাইছো। কিন্তু তুমি এখনো এই মরন খেলায় বাচ্চা। অনেক কিছু এখনো তোমার শিখার বাকি আছে।

__আর কিছু বাকি নেই! আজকেই আপনার শেষ সময়, এখন মৃত্যুর প্রহর গুনতে শুরু করেন।
__আজকে আমার না তোমার শেষ সময় তা এখনই বুঝতে পারবে।আর এই ছেলে গুলো দিয়ে আমাকে মারবে! হা -হা,,,,, তুমি হয়তো জানো না, এই রায়হান চৌধুরী কি জিনিস। যদি জানতে তাহলে এই ভুল কখনে করতে না। কিন্তু আপসোস এখন বলে আর কোনো লাভ নেই!আজকেই তোমাকে মরতে হবে। এতখনে মনে হয় পুলিশ চলে এসেছে।এখন তোমাদের সবাই কে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে আমি ভালো মানুষ সেজে যাবো।
রায়হানের মুখে পুলিশের কথা শুনতেই, রাজিবের সাথে আসা ছেলেগুলো একমুহূর্ত দেরি না করে, গেইট খুলে পালিয়ে যায়। রাজিব ও তাদের সাথে পালাতে নেয় তখনই, রায়হান নিজের পা বাড়িয়ে রাকিব কে নিচে ফেলে দেয়। নিচে পরার কারনে রাজিবের ঠুট কেটে রক্ত পরছে। রায়হান গিয়ে আবার গেইট বন্ধ করে আসে। আর মনে মনে ভাবে এরা কতটা বোকা!শুধু পুলিশের নাম নিয়েছে, আর সাথে সাথে সবগুলো পালাতে শুরু করে। একবার দেখলো না আসলেই কি পুলিশ আসছে! নাকি না।যাক এই মিথ্যা বলটা কাজে দিয়েছে। রায়হান আবার রাজিবের কাছে আসে,,,

__স্যার আমার ভুল হয়ে গিয়েছে আমাকে আপনি মাফ করে দেন। আপনি যা বলবেন আমি তা-ই করবো, প্লিজ আপনি আমাকে মারবেন না। আমার কিছু হলে আমার বাচ্চাদের দেখার মতো কেও নেই।
__এখন ক্ষমা চাইলেতো আর লাভ হবে না রাজিব, প্রথমে ভেবে নিতে হয় যে আমি কার সাথে লাগছি! আমি তার সাথে মাইন্ড গেম খেলে পারবো কি না। কিন্তু, না তুমি তোমার ম্যাডামের কথা শুনে আমার ক্ষতি করতে চেষ্টা করলে। এখন এর শাস্তি তোমাকে পেতে হবেই।
__স্যার প্লিজ আপনি আমাকে মারবেন না! আপনি যা বলবেন আমি তা-ই করবো। আপনার সব কথা শুনবো, তা-ও আপনি আমাকে মারবেন না প্লিজ।

এইতো বাছা পথে আসো,এতখন ধরে তো এই কথাটা শুনবার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। এখন যে করে হোক তোমার থেকে ম্যাডামের নাম্বার বা ছবি দেখতে হবেই।
__যদি তোমার বউ বাচ্ছা, আর নিজেকে বাঁচাতে চাও, তাহলে ম্যাডামের নাম্বার আর ছবি আমাকে দাও। তা না হলে এখনি তোমার শেষ সময়।

__স্যার আমার কাছে ম্যাডামের নাম্বার নেই, যেটা আছে ওইটা এখন আর ইউস করে না। ম্যাডাম আমাকে ভিন্ন ভিন্ন নাম্বারে কল দেয়। আর রইলো ম্যাডামের ছিবি! এইটা আমি দিতে পারবো না, তাহলে আমার বড়ো ক্ষতি করে দিবে।

__নিজের জীবনের থেকে তোমার কাছে ম্যাডামের ছবি বড়ো হয়ে গিয়েছে তাই না! তাহলে তুমি মরো।
কথাটা বলেই রায়হান রাজিবের গলায় রশি পেচিয়ে ধরে। রশি দিয়ে গলা পেচিয়ে ধরতেই, রাজিব ছটফট করতে শুরু করে। বাঁচার জন্য রায়হানের হাতে, খামচে ধরে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয় না, রায়হান আরো জুড়ে রশি পেচিয়ে টান দেয়। রাজিব ছটফট করতে করতে মারা যায়। রাজিবের নরা-চড়া বন্ধ হয়ে যায়।রাজিব আর এই দুনিয়াতে নেই, এটা বুঝতেই রায়হান গলার মধ্যে পেচিয়ে রাখা রশি সরিয়ে ফেলে। তারপর রাজিবের পকেট থেকে ফোনটা বের করে অন করে। 

যাক ভালোই হয়েছে ফোনটিতে লক দেওয়া নেই। তারপর রায়হান গ্যালাড়িতে প্রবেশ করে। একে একে সব ছবি দেখতে দেখতে নিচে একটা ছবি দেখার সাথে সাথে রায়হানের মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে যায়।সে যেনো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটা কি করে সম্ভব! ও কি করে আমাদের ম্যাডাম হতে পারে,,,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,, 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url